শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

হাঁড়িভাঙা আমের বিশ্বদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

হাঁড়িভাঙা আমের বিশ্বদর্শন

রংপুরের সুস্বাদু হাঁড়িভাঙা আমের এবারই প্রথম বিশ্বদর্শন হলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও নেপাল, ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে গেছে এই আম। এতে করে রংপুরের মানুষ যেমন গর্বিত, তেমনি ব্যবসায়ী ও আম চাষিরাও আশান্বিত হয়ে উঠেছেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুন ৭৫ মণ হাঁড়িভাঙা আম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগ্রোভিশন এই আম পাঠায়। এর পরপরই ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, নেপাল ও ভুটানে মোট ৩০ মেট্রিক টন আম পাঠানো হয়। কৃষিবিদদের মতে, হাঁড়িভাঙা আম গাছ থেকে পাড়ার পরে সাত দিনের বেশি রাখা যায় না। এর মধ্যেই এই আম পেকে যায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও এই আম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব নয়। এই আমের গঠন প্রকৃতি এমন যে এটিকে প্রক্রিয়াজাত অথবা ফ্রিজিং করেও রাখা যায় না। তবে এই আমের আচার কিংবা জেলি করা যায়। কৃষি বিভাগ এই আমকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন, দেশের অন্যান্য স্থানের আম যখন শেষ হয়ে যায়। তখন এই আম বাজারে আসে। ওই সময় পুষ্টির চাহিদা মেটায় এই আম। তাই এই আমের কদর বেশি। বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান চাপুল বলেন, মিঠাপুকুরের ময়েনপুরে আমার বাগান রয়েছে। আমার বাগানের আম ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খেয়েছেন- এটা ভাবতেই আনন্দ লাগছে। আম চাষি সামছুজ্জামান বলেন, হাঁড়িভাঙা আমকে নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে বিদেশে পাঠাতে পারলে একটি চাষিরা যেমন লাভবান হতেন, তেমনি এই সুস্বাদের কারণে বিদেশে এর সুনাম বাড়ত। রংপুর কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, সরকারিভাবে এই আম ভারত, নেপাল ও ভুটানে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগ্রোভিশন এই আম পাঠালেও কৃষি বিভাগ সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করেছেন। সুস্বাদের কারণে হাঁড়িভাঙা আম সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এই আম বাজারে পাওয়া যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে হাঁড়িভাঙা আম গাছ থেকে পাড়া ও বিক্রি শুরু হয়েছে ২০ জুন থেকে।

সর্বশেষ খবর