সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসককে মারধর হাসপাতালে ভাঙচুর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভাঙচুরসহ দুই চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে সন্ধ্যা ৬টা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়। রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। 

চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিকাল থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন চিকিৎসক সুজন পাল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহেদা বেগম (৫৫) নামে এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। জাহেদার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি গ্রামে। ডা. সুজন পাল তাকে    মৃত ঘোষণা করলে জাহেদার ছেলে জাহিদ মিয়া ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা জরুরি বিভাগের চেয়ার-টেবিল ও জানালা ভাঙচুর করেন। চিকিৎসককে গালাগালি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা চিকিৎসক সুজন পালকে মারধর করেন। এ সময় আরেক চিকিৎসক নুরে জান্নাত এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক তাহেরা আকতার বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আহত চিকিৎসক সুজন পাল জানান, ওই রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাকে মৃত ঘোষণার পরই রোগীর স্বজনরা অতর্কিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।

এদিকে মৃত জাহেদা বেগমের ছেলে জাহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মায়ের ইলেকট্রোলাইটসহ তিনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ভর্তি না করে পরের দিন রক্ত দিতে বলেন। এভাবে চিকিৎসার অভাবে তার মা মারা যান।

সর্বশেষ খবর