শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রজাবিদ্রোহের সেই শিবচন্দ্রের বাড়ি

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্রজাবিদ্রোহের সেই শিবচন্দ্রের বাড়ি

ঐতিহাসিক প্রজা বিদ্রোহ রংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারী রাজা শিবচন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে সংঘটিত হয়েছিল। ১৭৮৩ সালে শিবচন্দ্র ও দেবী চৌধুরানী ব্রিটিশবিরোধী প্রজাবিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং কৃষক প্রজাদের রক্ষা করতে গিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। শিবচন্দ্র রায়ের পিতা জমিদার রঘুনাথ চন্দ্র জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২৩৮ বছর থেকে ওই জমিদার বাড়িটি অবহেলিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের নজরে আসেনি বাড়িটি।

ইটাকুমারী জমিদার ছিল তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা, সাংস্কৃতিক চর্চার অন্যতম পুরুষ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কোনো রকমে টিকে আছে রাজা শিবচন্দ্রের জমিদার বাড়িটি। ইট সুরকি দিয়ে গড়া ইটাকুমারী জমিদার বাড়িটির মূল্যবান সামগ্রী অনেক আগেই বেহাত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে জমি।

ইটাকুমারী শিবচন্দ্র রায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও রাজনীতিবিদ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজ করতে কখনো দেখিনি। শুনেছি এটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে জমিদার বাড়িটি বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারপরও জমিদার বাড়িটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী ও পর্যটক আসেন। এটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইটাকুমারীর পাশেই চ-ীপুরের গোপন দুর্গভবনে শিবচন্দ্র রায়, নবাব নুরউদ্দিন বাকের জং, ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী মাঝে মাঝে গোপন সভায় মিলিত হয়ে ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামের রণকৌশল নির্ধারণ করতেন। ১৭৮৩ সালের বৈশাখ মাসে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে শিব চন্দ্র, দেবী চৌধুরানীসহ অনেকেই নিহত হন। তাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সমাহিত করা হয়েছিল বলে ওই স্থানটির নামকরণ করা হয় পবিত্রঝাড়।

রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ির কাস্টেডিয়ান এস এম হাসনাত বিন ইসলাম জানান, প্রাচীন ওই জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আওতায় আনার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর