মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা কেন্দ্রে ভিড়

বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ, ১৫ আগস্টের মধ্যে আসছে আরও ৫৪ লাখ ডোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনে ওয়ার্ড-ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। এতে কেন্দ্রগুলোয় দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। বরাদ্দের তুলনায় কম টিকা থাকায় ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। অনেক কেন্দ্রে ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। টিকার ঘাটতি থাকায় বেশ কিছু জেলায় বন্ধ হয়ে গেছে ক্যাম্পেইন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরসূত্রে জানা যায়, ছয় দিনের টিকা ক্যাম্পেইনের প্রথম দুই দিনেই ৩৫ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। ছয় দিনে ৩২ লাখ টিকা দেওয়ার টার্গেট ছিল। প্রথম দিনেই প্রায় ৩০ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এ ক্যাম্পেইন। কেন্দ্রগুলোয় পাঠানো টিকার তুলনায় গ্রহীতা এসেছেন কয়েক গুণ বেশি। এত মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম পরিস্থিতিতে পড়ছেন কর্তৃপক্ষ। উঠে এসেছে নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র। গত দুই দিনের    মতো গতকালও ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্রগুলোয় উপচে পড়া ভিড় ছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোরেই লাইনে দাঁড়ান আগ্রহীরা। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রগুলোয় দৈনিক ৩৫০ ডোজ টিকার বরাদ্দ থাকায় টিকা পাননি অনেকেই। ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, ‘এত মানুষ টিকা নিতে আসবেন ধারণার বাইরে ছিল। মানুষের আগ্রহ অনেক। আমাদের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের চাপ। সে তুলনায় টিকার সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না।’ সিটি করপোরেশনের বাইরে ঢাকা জেলার অন্য অংশগুলোয় গণটিকাদানের ‘লক্ষ্য অর্জিত হয়ে’ যাওয়ায় এ কর্মসূচির আওতায় আর টিকা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা মহানগরীর কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিকার চেয়ে গ্রহীতা বেশি হওয়ায় এমনিতেই কেন্দ্রটিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তার ওপর বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় কিছু সরকারদলীয় কর্মী শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নিজেদের লোকদের আগে টিকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়। হাতাহাতিও ঘটে। বাধ্য হয়ে সিটি করপোরেশন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। এরপর সংঘর্ষের আশঙ্কায় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এদিন নির্ধারিত ৬০০ ডোজের বাইরে আরও তিনটি ওয়ার্ডে ২২০ ডোজ বেশি টিকা দেওয়া হয়। কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমি বিশৃঙ্খলার কথা শুনেছি। মানুষ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাতে টিকার তো কোনো দোষ নেই। এসব বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।’ সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘প্রভাবশালীরা বারবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। টিকা বাড়িয়ে দিচ্ছি। তার পরও শৃঙ্খলাভঙ্গের এ প্রবণতা থেকে না বেরিয়ে আসতে পারলে ভবিষ্যতেও সমস্যা হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, বরিশালে করোনা টিকায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। জেলা ও মহানগরের ৩৩ কেন্দ্রে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেন মানুষ। জেলা ও মহানগরে প্রতিদিন ৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। যারা কভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের এখন দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।

এক দিনের ক্যাম্পেইনের পর থেকে মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডের ২৪ কেন্দ্রের ৩৫ বুথে দেওয়া হচ্ছে মডার্নার টিকা। ক্যাম্পেইন শেষে জেলার নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা। প্রতিটি কেন্দ্রে সকালেই আগ্রহী মানুষের ভিড় জমে যায়। কেন্দ্র সংখ্যা কম হওয়ায় মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। দুর্ভোগ এড়াতে কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার পর টিকা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এতে টিকা নিতে এসে ফিরে গেছেন অসংখ্য মানুষ। সকালে টিকার মাত্র ১৮ ভায়েল ছিল। প্রতি ভায়েল থেকে দুজনকে টিকা দেওয়া যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভায়েল শেষ হলে সাময়িকভাবে টিকা দেওয়া বন্ধ করা হয়। আরিফুর রহমান নামে এক টিকাগ্রহীতা বলেন, ‘সকালে এসেছিলাম টিকা নিতে। ৩০-৩৫ জনকে টিকা দেওয়ার পর জানানো হলো টিকা শেষ হয়ে গেছে।’ সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোমান মিয়া বলেন, ‘টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। যাদের টিকা দেওয়ার তারিখ ছিল তাদের নতুন করে টিকা এলে দেওয়া হবে।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো একরাম উল্লাহ বলেন, ‘টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে।’

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, ‘সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও হামার কপালোত জুটল না একটা করোনার টিকা।’ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে না পেরে এ কথা বলেন ভোগডাবুরী ইউনিয়নের নুরজাহান। গতকাল ডোমার উপজেলার চিলাহাটি মার্চেন্টস্ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৬০০ জনকে টিকাদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশনের কাগজ নিয়ে প্রায় আড়াই হাজার নারী-পুরুষ সমবেত হন। প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ টিকা না পেয়ে ফিরে যান। ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘এ ইউনিয়নে ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। এলাকার মানুষের টিকা নিতে আগ্রহ বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকা না আসায় মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় মহানগরীর ৩০ ওয়ার্ডের ৮৪ কেন্দ্রে শনিবার একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। যা ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলার কথা। অথচ টিকার মজুদ নিয়ে অনেক আলোচনার পর দুই দিনেই শেষ হয়ে গেল গণটিকার রাজশাহী সিটি অভিযান। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। অনেকেই গত দুই দিন লাইনে থেকেও টিকা পাননি। ফলে তারা বেশ অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। প্রতিদিন ২৫ হাজার জনকে মডার্নার প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের মাধ্যমে ছয় দিনের এ ক্যাম্পেইনে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করেছিল রাসিক। তবে টিকা দুই দিনেই শেষ হয়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকাদান ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, চট্টগ্রামে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রগুলোয় ভিড় করেছেন আগ্রহীরা। করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। গতকাল সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোয় ছিল মানুষের দীর্ঘ লাইন। তবে মুঠোফোনে খুদে বার্তা না পাওয়া এমনও অনেকে আসায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরে ১১ কেন্দ্রে চলছে টিকা প্রদান। রবিবার এসব কেন্দ্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে কেন্দ্রে ভিড় বেড়েছে। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘টিকার জন্য মানুষ ভিড় করছেন। যাদের এসএমএস আসেনি তারাও আসছেন।’ চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এ কেন্দ্রে টিকাদান কক্ষ বেশি। তাই সময় কম লাগছে। যাদের এসএমএস এসেছে তারাই টিকা দিতে পারছেন।’

১৫ আগস্টের মধ্যে আসছে আরও ৫৪ লাখ টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে আরও ৫৪ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আসবে। এই ৫৪ লাখ ডোজের ৩৪ লাখ আসবে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে। ১০ লাখ ডোজ আসবে চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকা। এ ছাড়া ১০ লাখ ডোজ চীন উপহার হিসেবে দেবে। ফলে আমাদের টিকার কার্যক্রমটি যে গতিতে চলছিল, সেটি অব্যাহত রাখা যাবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নিবন্ধন করেও টিকার জন্য এসএমএস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা যখন মজুদ না থাকে তখন মেসেজ যায় না। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে মেসেজ দেওয়া হয়। সামনে টিকা বেশি করে আসবে, তখন আরও বেশি করে মেসেজ যাবে। হাতে কত টিকা আছে এ মুহূর্তে বলতে পারছি না, তবে বেশ কিছু টিকা আছে। সরকারের কেনা, উপহার এবং কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৫৬ লাখের বেশি টিকা এসেছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণ টিকাদান শুরু হলেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা টিকা সময়মতো না পাওয়ায় গতি ব্যাহত হয়। এখন চীন থেকে টিকা কিনছে সরকার। পাশাপাশি টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকেও টিকা আসতে শুরু করেছে। নতুন করে টিকা আসতে থাকায় বড় পরিসরে ক্যাম্পেইন করে বিরাট জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে শনিবার থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬ দিনের গণ টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ করে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমরা দেখলাম যে, তার থেকে অনেক বেশি লোক এসে হাজির হয়েছেন। যেসব সেন্টারে বেশি টিকা ছিল তারা বেশি দিয়েও দিয়েছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় পরের দিন টিকা দেওয়া হয়েছে, দুর্গম এলাকায় পরে দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় সুষ্ঠুভাবেই কার্যক্রম হয়েছে। গ্রামে টিকা প্রার্থীর সংখ্যা আগে কম ছিল, বয়স্করা কম পেয়েছিল, টিকা নিতে কিছু অনীহাও ছিল। সেই অনীহা কেটে গেছে। টিকার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে টিকা দেওয়া হচ্ছে সেটা চলমান আছে এবং থাকবে। চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চীনও তাতে সম্মতি দিয়েছে। এখন বিষয়টি চুক্তির পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে সিনোফার্ম থেকে দেড় কোটি ডোজ কভিড টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিল, যা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন সেপ্টেম্বরে ১০-১৫ মিলিয়ন, অক্টোবরে ২৩ মিলিয়ন আর নভেম্বরে ২৩ মিলিয়ন টিকা দেবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্সের টিকা আসবে। ৬ মিলিয়ন ফাইজারের টিকাও পাওয়ার কথা। আমরা আশা রাখি ভারতের কাছে যে টিকা রয়ে গেছে, তাও পাব। কিন্তু এখনো কোনো রকমের কনফার্ম তারিখ তারা দেয়নি। এখন টিকার খুব প্রয়োজন। টিকা নিলে মানুষ সুরক্ষিত হয়। তবে সংক্রমণ থেকে পুরোটা সুরক্ষিত হবে তা নয়। এ জন্য টিকা নিলেও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আগামী বছরের শুরুতে দেশে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা আসার সম্ভাবনার কথা এর আগে বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।  সে প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, সেই ২১ কোটির মধ্যে ৩ কোটি ছিল চীনের। এই ৩ কোটি বাদে আরও ৪ কোটি যোগ হলো। কারণ যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা তো টিকা নাও দিতে পারেন। এ জন্য আমরা টিকার সংখ্যা বাড়াচ্ছি। যেখান থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখছি সেখানে কথা বলছি। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আগামী বছরের মাঝামাঝি আসবে। তার আগে আমরা টিকা পেলে সেটাই গ্রহণ করব। চীন থেকে আগে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। আমরা চাই মানুষকে তাড়াতাড়ি টিকা দিতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর