শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

থানার আঙিনায় উদ্ভিদ উদ্যান

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

থানার আঙিনায় উদ্ভিদ উদ্যান

থানার প্রধান ফটকে দাঁড়ালেই দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। আর দুই কদম এগিয়ে বাঁ পাশে তাকালেই চোখে পড়ে ফলদ বাগান। ফুল বাগানে ফুটে আছে নানা জাতের ফুল। আর ফলদ বাগানে রয়েছে নানান জাতের ফলের গাছ। থানা কমপ্লেক্সে সারি সারি টবে লাগানো আছে বাহারি রঙের পাতা বাহারের গাছ। থানার অফিস ভবনের কার্নিশে ঝুলছে ফুলের টব। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, সাদা নানান রঙের রঙিন এসব  ফুল শোভা পাচ্ছে থানা প্রাঙ্গণে। এই ফুল বাগানের পাশেই রয়েছে ফল বাগান। এই বাগানে রয়েছে ৩৮ প্রজাতির ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষ। এই বাগানটির নাম দেওয়া হয়েছে উদ্ভিদ উদ্যান ‘কিশোলয়’। এই উদ্যান থেকে ছড়াচ্ছে সবুজের নিঃসর্গ।

সবুজ প্রকৃতি আর নানা ফুলে রঙিন এমন সুন্দর থানা প্রাঙ্গণ দেখা যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানায়। থানার এই প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন এখানে আসা মানুষ। ক্ষণিকের জন্য হলেও তারা ভুলে যাচ্ছেন দুঃখ-বেদনা।

৩০ মে এই উদ্যানের উদ্বোধন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম। প্রায় দুই একর জায়গা নিয়ে উদ্যানটি গড়ে তোলা হয়েছে। উদ্যানে রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু, মালটা, কমলা, জাম্বুরা, লেবু, জাম, নারিকেল, পেয়ারা, জলপাই, আমলকি, তেঁতুল, কলা, কতবেল, লটকন, বরই, কমলালেবু, চালতা, আমড়া, বেল, গোলাপজাম, কামরাঙা, আতা, ডালিম, বিলেম্বু, অরবরই, পেঁপে, বাতাবিলেবু, দারচিনি, এলাচি ও লাল পেয়ারা গাছ। সরেজমিনে দেখা যায়, তিন মাস আগে লাগানো গাছগুলো আজ অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। কমলা গাছে ঝুলে আছে কমলা আর আমড়া গাছে আমড়া। গাছগুলো নিরাপদে বেড়ে ওঠার জন্য উদ্যানের চারপাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। আর বেড়াগুলো রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল-সবুজ রঙে।

এক দিন ফুলে-ফলে ভরে উঠবে এই উদ্ভিদ উদ্যান। উদ্যানের গাছের ছায়াতলে এসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেবেন থানায় আসা মানুষেরা।

সেবা নিতে আসা উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুল ও ফল বাগানে থানার পরিবেশ বদলে গেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে, মন ভরে ওঠে।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আবদুস ছালেক বলেন, থানা প্রাঙ্গণের শোভাবর্ধনের জন্যই ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। উদ্ভিদ উদ্যানে লাগানো গাছগুলো বড় হয়ে গেলে এখানে একটি ফলের বাগান হয়ে যাবে। তখন দেখতে আরও দৃষ্টিনন্দন হবে। সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম বলেন, থানায় মানুষ আসে বিপদে পড়ে খারাপ মন নিয়ে। এই মানুষগুলো থানায় পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই থানার আঙিনায় এই সবুজের সমারোহ ও রঙিন ফুলের বাগান দেখে তাদের মন অর্ধেক ভালো হয়ে যাবে। আর বাকি অর্ধেক মন ভালো হবে পুলিশের ভালো ব্যবহারে। আমাদের এই সুন্দর থানা, সুন্দর পুলিশ উপহার দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য; সেটা হলো জনগণের সেবা। এভাবেই একটু একটু করে বাংলাদেশ পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর সুফল পাবে জনগণ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর