বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

শ্রীমঙ্গলে পেঁপে চাষে সাফল্য

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গলে পেঁপে চাষে সাফল্য

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সিন্দুরখান ইউনিয়নের খোয়াজপুর গ্রামের কৃষক আলী হোসেন লিটন। তিনি এবার পরীক্ষামূলক এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছিলেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। দামও পাচ্ছেন ভালো। তার বাগানের পেঁপের ফলন দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার অন্য কৃষকরাও। আলী হোসেন এবার অন্যান্য সবজির সঙ্গে এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড বাবু জাতের পেঁপের চাষ করেছেন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে জমিতে চারা রোপণ করেন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গাছে ফুল ও ফল আসে। জুলাই মাসের শেষদিকে গাছ থেকে পেঁপে পারার উপযুক্ত হয়। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ১২০০ কেজি পেঁপে বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ২১ টাকা দরে তিনি এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ২০০ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। এভাবে তিনি একটানা আট মাস পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন। সবমিলিয়ে তার বিক্রি হবে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো। আর এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৮ হাজার টাকার মতো।

জানা যায়, বাবু জাতের পেঁপে কৃষকরা সারা বছর চাষ করতে পারবেন। আর ভালোভাবে পরিচর্যা করলে একেকটি পেঁপের ওজন হবে দেড় থেকে দুই কেজি। একরপ্রতি ফলন হবে ৩০-৪০ টন। একটি গাছ থেকে পাওয়া যাবে ৩০-৪০ কেজি পেঁপে। পানি নিষ্কাশন ও সেচের সুবিধা আছে এমন দো-আঁশ বেলে দো-আঁশ মাটিতে এই জাতের পেঁপে চাষ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে মাত্র ১১.৫৫ গ্রাম বীজ লাগে। কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থায়ই বাজারজাত করা যায়। পাকা পেঁপের মিষ্টতার পরিমাণ হয় ১৩-১৪ ভাগ। এর শাঁস হয় হলুদ রঙের। পুরুত্ব তিন থেকে চার সে.মিটার। এ জাতের পেঁপে চাষ করলে গাছে তেমন একটা কীটনাশক দিতে হয় না। এটি হলুদ মোজাহিক ভাইরাস সহনশীল জাত।

কৃষক আলী হোসেন লিটন বলেন, আমি এবার পরীক্ষামূলক পেঁপে চাষ করেছি। প্রথম বছরই এত ভালো ফলন হবে আশা করিনি। ফলন দেখে আমি খুব খুশি। দামও ভালো পাচ্ছি। অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। সঠিক নিয়মে চাষ করতে পারলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

সর্বশেষ খবর