দেশের বৃহত্তম ইনডোর থিম পার্ক টগি ওয়ার্ল্ডের আনলিমিটেড বিনোদন সুবিধায় আবারও আনন্দে মেতে উঠেছে সোনামণিরা। দীর্ঘ লকডাউন শেষে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ৮ ও ৯ এখন কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আনন্দ মেলা বসেছে। করোনাকালে নাগরিক জীবনের ক্লান্তি আর একঘেয়েমি কাটাতে সুস্থ বিনোদনে কচিকাঁচারা মেতে উঠেছে। তাদের কেউ বসেছে ঘোড়ার পিঠে, কেউ নাগরদোলায়। কেউ বাইক চালাচ্ছে, কেউ হেলিকপ্টারে চড়ছে। অনেক দিন পর শিশুদের এই আনন্দে মাতোয়ারা দেখে অভিভাবকরা বলছেন, শিশুর খুশিতে তারাও মহাখুশি। এই নগরে শিশুদের খেলার জায়গার বড়ই অভাব। দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান টগি ওয়ার্ল্ড সেই অভাব পূরণ করছে। যা শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে জরুরি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টগি ওয়ার্ল্ডের অপারেশন ম্যানেজার মো. মাকসুদুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও খুলেছে টগি ওয়ার্ল্ড। এখানে এখন বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করার পর সোনামণিদের ঢল নেমেছে। প্রচুর অভিভাবক তাদের কোমলমতি শিশুদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন টগি ওয়ার্ল্ডে। টগি ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে নাগরদোলার মতো মিনি ফেরিস ওয়েল রয়েছে। আছে মিনি টাওয়ার। এ ছাড়া বাম্পার কার, লিটল প্লেনসহ মোট ১৫টি আকর্ষণীয় রাইড, ৪৭টি গেমস এবং কিডস ও ভিআইপি বোলিং রয়েছে টগি ওয়ার্ল্ডে। আছে ৫০টি শিশু-কিশোর ধারণক্ষমতার একটি পার্টিরুম। আকর্ষণীয় মাদার রুমও রয়েছে। আছে সফট প্লে জোন, যা বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে। চার বা তার কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ‘টডলার প্লে জোন’। বড়দের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া এ পার্কে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত কাবাব চেইন ‘বাবা রাফি’র আউটলেট। পার্কে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার শিশুদের জন্য প্রবেশ ফি নেই। সব রাইড ও গেমসে আনলিমিটেড সময় উপভোগ করা যাবে মাত্র ৫০০ টাকায়। শুক্র ও শনিবারসহ প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে টগি ওয়ার্ল্ড। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ। টগি ওয়ার্ল্ডে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা তাদের বিনোদনের স্বর্গরাজ্যে আনন্দে মাতোয়ারা। গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিশু-কিশোরদের নিয়ে টগি ওয়ার্ল্ডে বনানী থেকে এসেছিলেন তানিয়া ফেরদৌস। আলাপকালে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই পার্কে শিশুরা যখন সুপার বাইক ড্রাইভ করছে, তখন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রাজধানীর বেইলি রোড থেকে আসা আসগর খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাকালে অনেক দিন ধরে বাচ্চাদের বিনোদন নেই। বাচ্চা ঘরে বসে ক্লান্ত। এমন সময় টগি ওয়ার্ল্ড চালু হওয়ায় আমার বাচ্চারা খুব মজা পাচ্ছে। আসলে এখানে আসলে বাচ্চারা আর বের হতে চায় না। মনের আনন্দে সবসময় খেলায় ব্যস্ত থাকে ওরা। মোহাম্মদপুর থেকে আসা মামুন রহমান ও কান্তা রহমান দম্পতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টগি ওয়ার্ল্ড খোলার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। আমাদের মেয়েরা খুব আনন্দ পাচ্ছে।