রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা

সাজাপ্রাপ্ত আসামি রঞ্জু গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তাঁর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার নাম মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রঞ্জু কলারোয়া সরকারি কলেজে ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। মামলার এজাহার ও তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তাঁর গাড়িবহরে হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এ সময় বহরে থাকা ১৫-২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হন। ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন সাতক্ষীরা আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন তিনি। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়। ওই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। তদন্ত শেষে তখনকার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনের পৃথক ধারায় দেওয়া তিনটি অভিযোগপত্রের মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় সাতক্ষীরার আদালত। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। এর মধ্যে কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, পলাতক আরিফুুর রহমান ও রিপনকে ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়ে রায় দেয় আদালত। মামলায় এ পর্যন্ত ২০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ৫০ আসামির মধ্যে ১৫ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। রঞ্জু পলাতক আসামিদের একজন ছিলেন।

সর্বশেষ খবর