বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
দুই সন্তানের জনকের কান্ড

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজছাত্রীর শরীরে আগুন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কাজল আক্তার (২৫) নামে এক কলেজছাত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শরিফ মিয়ার (৪০) বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া এলাকায় দ্বিমুখা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত বখাটে শরিফ একই এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের  জনক। কাজলের স্বজনরা বলেন, মৃত কাজী ময়নালের মেয়ে কাজল আক্তার (২৫) মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী। কাজল একই গ্রামের বখাটে শরিফ মিয়ার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াত। কাজলের মা রেনু বেগম বলেন, এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে স্থানীয় এক ছেলে সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয়। মেয়েটির বিয়ের পর থেকে শরিফ তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে কাজল তার বাবার বাড়ি থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। সোমবার রাতে কৌশলে শরিফ বাড়ির পাশে কাঠ বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বখাটে শরিফ কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কাজল চিৎকার দিয়ে লুটিয়ে পড়লে শরিফ পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মেয়েটিকে প্রথমে স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। ঘিওর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়েটির শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। মেয়ের মা রেনু বেগম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেছেন। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর