রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

শেরপুর হাসপাতালের লিফট বিকল, সিঁড়িতে সন্তান প্রসব

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর নয় তলাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি লিফটই চার দিন ধরে বিকল হয়ে আছে। লিফট বিকল থাকার কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। এই দুর্ভোগ চিকিৎসক-নার্সদেরও ভোগাচ্ছে। ওই নয় তলা হাসপাতাল-জুড়েই রয়েছে করোনা ইউনিট, জরুরি ভর্তি রোগীর শয্যা, ডাক্তার চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ অতি প্রয়োজনীয় সেবাদানের স্থান। এদিকে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রসূতি  হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিঁড়ি ভেঙে পাঁচ তলার গাইনি ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই বাচ্চা প্রসব হয়ে গেছে। হাসপাতালের লিফট না থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, এ বছরের ৭ জানুয়ারি লিফট ও ওই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। এ আট মাসের মধ্যে দুটি লিফটই অন্তত চারবার নষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত অর্থাৎ চার দিন ধরে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে করোনা আক্রান্ত, প্রসূতি, শিশু ও বৃদ্ধরা।  সরেজমিন দেখা গেছে, দুটি লিফট একসঙ্গে বিকল হওয়ায় রোগী, রোগীর স্বজন ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতরা ওঠানামা করতে পারছেন না। শনিবার সকালে দেখা গেছে লিফট বন্ধ থাকায় অতি অসুস্থ মানুষজন সিঁড়ি ব্যবহারে কষ্ট পাচ্ছে। ভুক্তভোগী ও সাধারণের অভিমত, এত বড় হাসপাতালে শুধু দুটি লিফট দেওয়া ঠিক হয়নি। যন্ত্র নষ্ট হতেই পারে। এত প্রয়োজনীয় একটি সেবা ঠিক করতে ১০-১৫ ঘণ্টা সময়ের বেশি লাগাটা দুঃখজনক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির পানিতে চার দিন ধরে লিফট নষ্ট। মেরামত করতে গণপূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনওয়ারুর রউফ জানিয়েছেন, লিফট চালু করতে ইতিমধ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এ বিষয়ে শেরপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন- তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে তার (গণপূর্ত) এক কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিকল হওয়ার বিষয়ে কেউ তাকে অবগত করেনি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

সর্বশেষ খবর