সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের আয় কমেছে, বেড়েছে ব্যয়

২০২০ সালে আয় ১০ কোটি ৩৩ লাখ, ব্যয় ৯ কোটি ৯৪ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের আয় কমেছে, বেড়েছে ব্যয়

২০২০ পঞ্জিকা বছরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা। ২০১৯ সালের তুলনায় দলটির আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। আর ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। গতকাল ইসির কাছে জমা দেওয়া হিসাব থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সেই হিসাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বছরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আয় কমেছে আর ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। ২০২০ পঞ্জিকা বছর শেষে উদ্বৃত্তসহ ক্ষমতাসীন দলটির তহবিলে এখন রয়েছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা।

গতকাল আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে ২০২০ পঞ্জিকা বছরের আওয়ামী লীগের আর্থিক লেনদেনের হিসাব বিবরণী জমা দেন। নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট জমা দেন তিনি। এ সময় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, ২০২০ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা কম; তথা ২০১৯ সালের তুলনায় আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। বিভিন্ন পর্যায়ে সদস্যদের দেওয়া চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান ইত্যাদি থেকে দলের আয় হয়েছে।

আয় কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রচার সম্পাদক জানান, ২০১৯ সালে আয়ের অন্যতম খাত ছিল আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল বাবদ পাওয়া অর্থ। ২০২০ সালে মনোনয়ন ফরম বিক্রি আগের তুলনায় কম হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি টাকা; ২০১৯ সালে আয় ২১ কোটি টাকা। গেল বছর দলের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা। আগের বছরের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা; যা ২১ শতাংশ। ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে- অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা ও ত্রাণ বিতরণ ইত্যাদি। করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ, দলীয় প্রার্থীদের অনুদান প্রদান, পত্রিকা ও প্রকাশনা খরচ বাড়ায় আগের তুলনায়ও ব্যয় বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ২০২০ পঞ্জিকা বছর শেষে স্থিতি রয়েছে ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬০১ টাকা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট স্থিতি ছিল ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা। সব মিলিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির মোট স্থিতি রয়েছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরপর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। তবে মহামারীর কারণে সে সময় আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসি।

সর্বশেষ খবর