রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সংসদ অধিবেশন

মহাসড়ক ব্যবহারে টোল, বিল উত্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯২৫ সালের ‘হাইওয়ে অ্যাক্ট’ রহিত করে মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ের বিধান রেখে সড়ক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নতুন আইনের ‘মহাসড়ক বিল, ২০২১’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। এ আইনের অধীনে সরকার গেজেট করে কোনো সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না তা নির্ধারণ করবে। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে, পরিচালনা কেমন করে করা হবে; কোনগুলো থেকে টোল নেওয়া হবে, তা-ও নির্ধারণ করবে সরকার। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে চতুর্দশ অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে মহাসড়কে আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড, ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দন্ড আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে- সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া মহাসড়কে কোনো বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, তোরণ বা অনুরূপ কিছু টাঙানো বা স্থাপন করা যাবে না। ধীরগতিসম্পন্ন যানগুলো মহাসড়কের নির্ধারিত লেন ছাড়া অন্য কোনো লেন ব্যবহার করতে পারবে না। বিলে আরও বলা হয়েছে, মহাসড়কে ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা অনুরূপ কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না। মহাসড়কের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোনো স্থান দিয়ে পদযাত্রা করা যাবে না বা এ আইনের অধীন অনুমোদিত উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো স্থানে অবস্থান করা যাবে না। বিলে নির্ধারিত মাশুল প্রদান সাপেক্ষে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউটিলিটি সংযোগগুলো মহাসড়কের প্রান্তসীমা বরাবর স্থাপন করার বিধান রাখা হয়েছে। মহাসড়কের উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রয়োজন হলে ওই ইউটিলিটি সংযোগগুলো সেবা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে নির্দিষ্ট সময়ে অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে স্থানান্তর করবেন। এ ছাড়া মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সময় এ কাজের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি ও মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করতে হবে তা বিলে বলা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, নির্ধারিত জায়গা ছাড়া মহাসড়কে গবাদি পশু চরানো, প্রবেশ করানো, পারাপার করানো যাবে না। এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক-সংশ্লিষ্ট সুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ ও সংস্কার করবে। বিলে মহাসড়ক বা সড়কের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, অবৈধ দখল বা প্রবেশমুক্ত রাখার জন্য কী করণীয় হবে এবং সার্ভে করার জন্য কত দূর মানুষের বাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারবে সেসব বিষয়ে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর