অবৈধ সম্পদসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক নুরুল হুদা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- সিনিয়র সুপারভাইজার সিবিএ’র সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, তিতাসের সিনিয়র বিক্রয় সহকারী ফয়েজ আহমেদ  লিটন ও সিনিয়র সুপারভাইজার হারুন-অর-রশিদ। সময় চেয়ে চিঠি দিয়ে যারা আবেদন করেছেন তারা হলেন- তিতাসের সহকারী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ।

গত ২৩ আগস্ট পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীসহ ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। তাদের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নোটিস জারি করা হয়।

এ বিষয়ে আরও জানা যায়, সিবিএ নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নামে ছয়তলা বাড়ি ও স্ত্রীর নামে জুরাইন সেলিনা স্টেটে ৩ কাঠা জমি রয়েছে। পুরান ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যা অবৈধভাবে অর্জন করা। অন্যদিকে ফয়েজ আহমেদ লিটনের নামে ঢাকায় একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল ওহাব ও মো. মইনুল ইসলামসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দুদক কার্যালয়ে আরও যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে তারা হলেন, তিতাসের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র বিক্রয় সহকারী ফারুক আহমেদ, ফতুল্লার সহকারী কর্মকর্তা দেলোয়ার মোর্শেদ, সাভারের উপ-ব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান, আবদুল মান্নান, সংস্থাপন বিভাগের পার্সোনাল শাখার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান, করপোরেট ডিভিশনের কোম্পানি সচিব মাহমুদুর রব, করোশন কন্ট্রোল শাখার ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের মহররম আলী, প্রাক্তন পরিচালক খান মইনুল মোস্তাক, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আইয়ুব খান চৌধুরী, জোন- ৯ এর কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের জাকির হোসেন, আবু সাঈদ, মফিজ, মানিক মিয়া প্রমুখ।