মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

অবশেষে ভারত থেকে দেশে ফিরছে সেই দম্পতি

কলকাতা প্রতিনিধি

সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশে ফেরার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি না হওয়ায় দেশে ফিরতে পারছিল না বাংলাদেশি দম্পতি। ভারতের একটি আদালতের নির্দেশে প্রায় আড়াই মাস মহারাষ্ট্রের ফরাসখানা থানায় অবস্থান করছিলেন তারা। অবশেষে রবিবার সকালে পুণে থেকে তাদের দেশের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হলো।

পুলিশ সূত্র জানায়, কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসে বাংলাদেশি দম্পতি। মুম্বাইতে আসার পরই পুণের বুধওয়ার পেথ নামের নিষিদ্ধপল্লীতে তাদের আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এমনকি পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ দেন তাদের ভারতে নিয়ে আসা দালাল। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তারা। এতে বাংলাদেশি দম্পতিকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে দালাল। এই খবর পেয়ে ফরাসখানা থানা পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার ও আটক করে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী প্রায় দুই বছর তিন মাস পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে (সংশোধনাগার) কাটাতে হয় ওই দম্পতিকে। গত জুন মাসে সাজার মেয়াদ শেষে আদালতের নির্দেশে তাদের পুণের ফরাসখানা থানায় নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই প্রায় ৮০ দিন ধরে ওই থানায়ই অবস্থান করছিলেন ওই দম্পতি। থানায় অবস্থানকালীন তাদের প্রতিদিনের সব খরচ বহন করছিল থানা কর্তৃপক্ষ। এমনকি গত ঈদে ওই দম্পতিকে নতুন পোশাক কিনে দেওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করে থানা কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের তরফে ওই দম্পতির নাগরিকত্ব পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের ‘ইমার্জেন্সি ট্রাভেল সার্টিফিকেট’ (ইটিসি) দেওয়া হয়। এরপরই পুণে থেকে কলকাতা হয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন তারা।

এ ব্যাপারে ফরাসখানা থানার পরিদর্শক রাজেন্দ্র ল্যান্ডেজ জানান ‘খুলনার বাসিন্দা ওই বাংলাদেশি দম্পতির নাগরিকত্ব পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের ইটিসি অনুমোদন করে। এরপর রবিবার সকালে প্রত্যার্পণের নথিসহ তাদের মুম্বাই থেকে কলকাতা যাওয়ার ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়া হয়। মুম্বাই থেকে কলকাতা হয়ে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত ওই বাংলাদেশি দম্পতি যাতে কোনো জটিলতায় না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পুণে পুলিশের দুই সদস্যের একটি টিমও তাদের সঙ্গে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে এসে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতে ওই বাংলাদেশি দম্পতিকে হস্তান্তর করবে।

সর্বশেষ খবর