মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

মাঠে মাঠে আগাম শীতকালীন সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

মাঠে মাঠে আগাম শীতকালীন সবজি

বগুড়ায় আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের পর খেত পরিচর্যায় মাঠে নেমেছেন চাষিরা। প্রতিদিন ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত মাঠে সবজি খেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। শীতের সবজি যত আগে বাজারে তোলা যায় তত ভালো দাম পাওয়া যায়- এ কারণে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন জেলার কৃষকরা। বগুড়ার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন শীতকালীন সবজির ফলন পাওয়া যাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, বগুড়ায় বরাবরই সবজির আবাদ ভালো হয়। এ বছরও ভালো ফলন পাওয়ার আশায় কাজ করছেন চাষি ও কৃষি কর্মকর্তারা। এ বছর ১৮ হাজার ১৮৮ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিপরীতে ফলন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। আর গত বছর সবজির ফলন হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। আবাদ হয়েছিল ১৭ হাজার ৯১২ হেক্টর জমিতে। শাজাহানপুর উপজেলার চাষিরা শীত আসার আগেই বাজারে সবজি নিয়ে আসেন। আগাম ফলন পেতে এ উপজেলার কৃষক হাড়ভাঙা শ্রম দিচ্ছেন। শাজাহানপুরের বামুনিয়া, শাহনগর, কামারপাড়া, আমরুল অঞ্চল সবজি চাষের প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া বেগুন চাষে দাড়িগাছা, মরিচ চাষে গোহাইল ও জামাদার এলাকা বিখ্যাত। বাজারে আগাম টমেটো আনতে দুরুলিয়া ও খোট্রাপাড়ার কৃষক মাচা বানিয়ে চাষ করছেন। শিমের আগাম জাতের মাচায় ফুলও ধরেছে। শাজাহানপুর ছাড়া অন্য ১২ উপজেলার প্রায় সব জায়গায় কমবেশি শীতকালীন সবজি মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শিম, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও পিঁয়াজ চাষ হয়। শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ও চোপিনগর ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো চাষি খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। চোপিনগর এলাকার এনামুল হক বলেন, তিনি ৬০ শতক জমিতে মুলার সঙ্গে লালশাক চাষ করেছেন। পুরুষ শ্রমিকের মজুরি বেশি, তাই কিষানি দিয়ে জমি আগাছামুক্ত করাচ্ছেন। দাড়িগাছা এলাকার বেগুন চাষি মতিউর রহমান জানান, এ বছর তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। বৃষ্টিতে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও স্বাভাবিক আছে। আবহাওয়া এমন থাকলে আগামী মাসে ফলন পাওয়া যাবে। শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানান, শীতকালীন সবজির দিকে উপজেলার কৃষকদের বিশেষ নজর থাকে। এ বছর শাজাহানপুরে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নানা রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।

সর্বশেষ খবর