বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

বারোমাসি কারিশমা জাতের তরমুজ চাষ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

বারোমাসি কারিশমা জাতের তরমুজ চাষ

ছোট যমুনা নদী-বিধৌত নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা প্রচুর ধানের পাশাপাশি আলু, পটোল, কাঁচা মরিচ, লাউসহ সকল প্রকার সবজি উৎপাদনেও সফল। আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বদলগাছী নাকফজলি আমের জন্যও বিখ্যাত। সম্প্রতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় বারো মাস চাষযোগ্য কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন এক কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় তরমুজের চাষ হয় না বললেই চলে। তরমুজ পুরোপুরিই বাইরের জেলা থেকে আমদানিনির্ভর এ উপজেলা। এ আর মালিক সিডস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাপানের সাকাতা থেকে কারিশমা জাতের তরমুজের বীজ নিয়ে আসে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতায় প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে একজন কৃষক হাইব্রিড জাতের এ কারিশমা তরমুজ চাষ করেন। তাতে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কোলা ইউনিয়নের ভোলার পালশা গ্রামের কৃষক আরমান হোসেন। ঘন ও মাচাং পদ্ধতিতে ১ বিঘা জমিতে কারিশমা জাতের বারোমাসি তরমুজের চারা লাগানো যাবে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০। ৬০-৬৫ দিনের মধ্যেই এ তরমুজ বিক্রি-উপযোগী হয়। প্রতি গাছে ফল হয় তিন-চারটি। প্রতিটির ওজন আড়াই-তিন কেজি। কৃষক আরমান হোসেন বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সার্বিক সহযোগিতায় আমি তরমুজের চাষাবাদ করছি। জুনের শুরুতে ২৫ শতক জমিতে ৪০০ কারিশমা জাতের তরমুজের চারা লাগিয়েছি। গাছগুলো বেশ ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছে। চারা লাগানোর দুই মাস পরই ফল বিক্রি শুরু করেছি। ২৫ শতক জমিতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ৪০ টাকা কেজি দরে ৩০০ কেজি তরমুজ বিক্রি করেছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ‘তরমুজ অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাসিয়াম ও আঁশ আছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারিশমা জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষে অল্প সময়ে ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এ তরমুজের বাজারমূল্যও বেশি। এ উপজেলার কৃষককে কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বেশি চাষাবাদ হলে আমরা এর জন্য একটা বাজার তৈরি করতে পারব। কৃষক খুব সহজেই ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর