বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২২ মহাসড়ক

দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বেড়েছে, পথে পথে চাঁদা দিয়ে চলছে অবৈধ যান

শিমুল মাহমুদ

নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২২ মহাসড়ক

দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নসিমন, করিমন চলাচল একাধিকবার বন্ধ ঘোষণার পরও ২২ মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ যান। সরকারি সিদ্ধান্তের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মহাসড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক) ও মোটরচালিত রিকশা নির্বিঘ্নে চলছে। ফলে, সড়ক, মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। সড়ক  নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের নির্লিপ্ততা এবং কার্যকর তদারকির অভাবে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। নিয়মিত চাঁদা দিয়েই সড়কে চলছে এসব ঝুঁকিপূর্ণ যান। নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে মহাসড়কে অটোরিকশা ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রয়োজনে মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের জন্য আলাদা লেন চিহ্নিত করে দেওয়া হবে। সরকারি সিদ্ধান্তের প্রথম দিকে পুলিশি তৎপরতায় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল কমে যায়। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাও প্রত্যাশিতভাবে অনেক হ্রাস পায়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বাড়তে থাকে। বর্তমানে সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত তিন চাকার যানগুলো। মাঝে একাধিবার মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের চেষ্টা করলেও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ঢাকা যানবাহন সমম্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, মহসড়কে ধীরগতির এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন দুর্ঘটনার বড় কারণ। মহাসড়ক সব সময় অবারিত থাকা উচিত। এসব ছোট গাড়ির জন্য আলাদা লেন করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে।

থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ যে ২২ মহাসড়কে : এন ১-কাঁচপুর সেতু (ঢাকা)-মদনপুর-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-রামু (কক্সবাজার), এন ২-কাঁচপুর সেতু (ঢাকা)-ভেলানগর (নরসিংদী)-ভৈরব-সরাই-মাধবপুর-মিরপুর-শেরপুর-সিলেট বাইপাস, এন ৩-জয়দেবপুর চৌরাস্তা-ময়মনসিংহ বাইপাস পয়েন্ট, এন ৪-জয়দেবপুর চৌরাস্তা-টাঙ্গাইল-জামালপুর, এন ৫-আমিনবাজার সেতু (ঢাকা)-মানিকগঞ্জ-    পাটুরিয়া ঘাট-খয়েরচর ঘাট-কাশিনাথপুর- হাটিকুমরুল-বগুড়া বাইপাস-রংপুর বাইপাস-সৈয়দপুর বাইপাস-দশমাইল (দিনাজপুর)-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা, এন ৬-কাশিনাথপুর (পাবনা)-পাবনা বাইপাস-দাশুড়িয়া-নাটোর বাইপাস-রাজশাহী বাইপাস-নবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ-বালিয়াদীঘি স্থলবন্দর, এন ৭-দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (রাজবাড়ী মোড়)-মাগুরা-ঝিনাইদহ বাইপাস-যশোর বাইপাস-খুলনা সিটি বাইপাস-মংলা, এন ৮-তেঘরিয়া মোড় (ঢাকা)-মাওয়া-কাওড়াকান্দি-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী, এন ১০২-ময়নামতি (কুমিল্লা)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাইপাস-সরাইল, এন ১০৫-মদনপুর-ভুলতা-মিরেরবাজার-ভোগড়া-কড্ডা (ঢাকা বাইপাস), এন ৪০৫-এলেঙ্গা-নলকা-হাটিকুমরুল, এন ৫০২-বগুড়া-নাটোর, এন ৫০৬-রংপুর-বড়বাড়ি-কুড়িগ্রাম, এন ৫০৭-হাটিকুমরুল-বনপাড়া, এন ৫০৯-বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী, এন ৫৪০-নবীনগর- ইপিজেড- চন্দ্রা, এন ৭০২-যশোর-মাগুরা, এন ৭০৪ ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-দাশুড়িয়া, এন ৭০৬-চাঁচড়া মোড় (যশোর)-বেনাপোল, এন ৮০৪ ও ৮০৮-ভাঙ্গা-ফরিদপুর বাইপাস-রাজবাড়ী মোড়, এন ৮০৫ ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-মোল্লাহাট-ফকিরহাট-নোয়াপাড়া এবং এন ৮০৬-ভাটিয়াপাড়া-কালনা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর।

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভটভটিসহ থ্রি-হুইলার চলছে অবাধে। ব্যস্ততম এই মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলের কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনা। কুমিল্লা অংশে দুর্ঘটনার অর্ধেকই তিন চাকার এসব গাড়ির কারণে। মহাসড়কটির কুমিল্লা অংশের ১০৫ কিলোমিটার এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি এলাকাতেই চলছে ইঞ্জিনচালিত ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান। 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে দেখা যায়, মহাসড়কের উপরেই সারি সারি সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব গাড়ির চালকরা ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন বিভিন্ন গন্তব্যের। এরপর মহাসড়ক হয়েই এসব যানবাহন চলছে বিভিন্ন স্থানে। এই এলাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামগ্রামী দুটি লেনই থ্রি-হুইলারের দখলে। এতে মহাসড়কের এই অংশে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে, ঘটে দুর্ঘটনাও। চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকায় মালামাল নিয়ে নসিমন, করিমন ও ভটভটি অবাধে চলছে। সেখানে মহাসড়কের ওপর সারি সারি তিন চাকার যান দাঁড়িয়ে থাকে। সদর দক্ষিণে সুয়াগাজী এলাকায় মহাসড়কের ওপরেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার ‘স্ট্যান্ড’। এখান থেকে যাত্রী তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে। পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড, কোটবাড়ী বিশ্বরোড, আলেখারচর বিশ্বরোড, ময়নামতি, নিমসার চান্দিনা, গৌরিপুর ও দাউদকান্দি এলাকায় বিভিন্ন ক্রসিং দিয়ে প্রতি মুহূর্তেই এপার-ওপার চলাচল করছে নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার। কয়েকজন চালক বলেন, মহাসড়ক দিয়ে গেলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছা যায়। এ ছাড়া এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো মহাসড়ক দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। তারা মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ির জন্য আলাদা লেন চান। সামছুল আলম, কবির হোসনসহ মহাসড়কের কয়েকজন বাসচালক জানান, অবৈধ এসব থ্রি-হুইলারের অনেক চালক জানেই না কীভাবে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হয়। তারা হুট করে দ্রতগতির গাড়ির সামনে চলে আসে। যখন ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে একটি বাস চলে তখন এসব নিষিদ্ধ যান হুট করে সামনে চলে আসলে আমাদেরকে ব্রেক করে গাড়ি থামাতেও বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার গাড়িগুলো অনেক সময় গোপনে চলতে চায়। এসব গাড়ির বিরুদ্ধে সারা বছরই ব্যবস্থা চলছে। আমরা এসব গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেই।

এম এ শাহীন, সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট  মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি ও লেগুনা। মহাসড়কে এসব গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচলের ফলে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। ১৩ সেপ্টেম্বর বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের শিমরাইল মোড়, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর, মদনপুর, মোগরাপাড়া, তারাব, ভুলতা, গাউছিয়া ও কাঞ্চন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে মনে হয়, পুরো সড়ক যেন থ্রি-হুইলারের দখলে। পুলিশের সামনে দিয়ে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি, লেগুনা অবাধে চলছে। তবে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই প্রশাসন মো. মশিউর আলম বলেন, মহাসড়কে নিষিদ্ধ যান পেলেই আটক করে মামলা দিয়ে সরাসরি ডাম্পিং এ পাঠিয়ে দিচ্ছি। গত আগস্ট মাসে ৫৮১টি মামলা দেওয়া হয়েছে।

মহাসড়কের ঢাকামুখী পয়েন্টে প্রতিনিয়ত যানজট হচ্ছে, যার মূলে রয়েছে উল্টো পথে চলাচল করা ব্যাটারিচালিত রিকশা। চালকের আসনে অধিকাংশই ১২-১৪ বছরের শিশুদের দেখা যায়। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. টুকু মিয়া বলেন, এই  রিকশার দাম কম ও ভাড়া বেশি। এজন্য প্রতিদিন নতুন করে রিকশা নামছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরিতে খরচ হয় ৩০/৪০ হাজার টাকা। মাসে আয় হয় কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা। রিকশার কোনো লাইসেন্স লাগে না। চালকেরও লাইসেন্স-প্রশিক্ষণ কিছুই লাগে না।

মুহাম্মদ আল আমিন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত অটোরিকশা ও যান্ত্রিক যানবাহন চালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। সোনারগাঁয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবাধে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে অটোরিকশা দিয়ে। মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ডও। এসব থ্রি-হুইলার মহাসড়কে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

কাঁচপুর থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে মহাসড়কের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে অটোরিকশা, অটো টেম্পো স্ট্যান্ড। মহাসড়কের এই ১৪ কিলোমিটারে অসংখ্য পায়েচালিত ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নসিমন-করিমন-ভটভটিসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহন চলছে।

সোনারগাঁ থানা-পুলিশ ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত গত ছয় মাসে দুই ডজনেরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে ২০ জন।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতি মাসেই আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছি। এই মাসে ৮১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিএনজি ও অটোরিকশা মাঝেমধ্যে গোপনে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতিদিনই এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সার্ভিস লেনে নিরাপদ থ্রি-হুইলার, কমেছে সড়ক দুর্ঘটনা

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, দেশের মহাসড়কগুলোতে অবৈধভাবে চলাচলকারী থ্রি-হুইলার বন্ধে বাস-কোচ শ্রমিক মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মহাসড়কের দুই পাশে থ্রি-হুইলার চলাচলের জন্য আলাদা লেন তৈরি শুরু করেছে। সেই আলোকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে সার্ভিস লেন যুক্ত হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের এক পাশে সার্ভিস লেনের কাজ শেষ হলেও অপর পাশে কাজ চলছে। সে জন্য এখনো মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলছে। এ ছাড়াও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় মহাসড়কেই অবৈধ থ্রি-হুইলার চলছে।

গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত একপাশে সার্ভিস লেন থাকায় সেখান দিয়ে তিন চার যানবাহন চলছে। তবে অন্য পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণাধীন থাকায় সেই অংশের থ্রি-হুইলার মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। বিশেষ করে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত কোনো সার্ভিস লেন না থাকায় দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গেই তিন চাকার যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে নসিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান গাড়ি। সার্ভিস লেনের কারণে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল কম করায় দুর্ঘটনা অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. ইয়াসিন আরাফাত জানান, এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশেই সার্ভিস লেন থাকায় তিন চাকার যানবাহনগুলো এখন মহাসড়কে উঠতে পারে না। সার্ভিস লেন দিয়েই থ্রি-হুইলার চলছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণ শেষ হয়ে গেলে নিরাপদে এসব যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর