বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যান ও স্ত্রী সন্তানদের নামে পাঁচ মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি

পৌনে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের নামে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ মামলাগুলো করেন। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে মো. মাছুম পাঠান এবং দুই মেয়ে খালেদা পারভীন ও তানসীন কেয়ার নামে জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের নামে পাঁচটি পৃথক সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদক সচিব বরাবর তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। সেই সম্পদ বিবরণী যাচাই ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে দাবি দুদকের। আবদুল খালেক পাঠানের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে তার নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ৪৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তিনি হিসাব দিয়েছেন। কিন্তু ওই হিসাব যাচাই করে তার নামে ৪৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৪২৪ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

এ ছাড়া তার ১৩৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯ হাজার ২৪৫ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, এ সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং অসাধুভাবে তিনি অর্জন করেছেন। আবদুল খালেক পাঠানের স্ত্রী এবং কেয়া গ্রুপ ও কেয়া কসমেটিসকের পরিচালক ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে মামলায় ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জন এবং ১৭ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আবদুল খালেক পাঠানের ছেলে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের পরিচালক মো. মাছুম পাঠানের বিরুদ্ধে মামলায় ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। খালেক পাঠানের মেয়ে কেয়া কসমেটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা পারভীনের বিরুদ্ধে মামলায় অবৈধভাবে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ১৮০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তিনি ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৩৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। খালেক পাঠানের আরেক মেয়ে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের পরিচালক তানসীন কেয়ার বিরুদ্ধে মামলায় ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জনের এবং ২৫ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার ১২৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর