বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

একটি প্রেমে দুটি মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেনীর আলোচিত আল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ডায়মন্ড নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার ডাঙ্গাপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি জানায়, একটি প্রেমের সম্পর্ক থেকেই এই নির্মম হত্যাকান্ডের সূত্রপাত।

গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামে একটি টিনশেড কলোনিতে আল আমিন নামে এক ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের শিকার হন। ঘটনার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। আল আমিন, তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও আসামি মো. ডায়মন্ড ওই টিনশেড কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তারা তিনজনই ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হরেক রকমের জিনিসপত্র ফেরি করে বিক্রি করতেন। আসামি ডায়মন্ডের সঙ্গে নিজ গ্রামের পপি মন্ডল নামে একটি তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও সম্পর্কটি বেশি দিন টেকেনি। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। এর কিছুদিন পর পপি বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পপির আত্মহত্যার পর ডায়মন্ড জানতে পারে আল আমিন সুকৌশলে তার (ডায়মন্ডের) ফোন ব্যবহার করে পপিকে বলেছে, ডায়মন্ড তাকে ভালোবাসে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে পপি আত্মহত্যা করেছে। ডায়মন্ড আরও জানতে পারে আল আমিন তার তিন সহযোগী রুবেল, হাসিব, আবু বক্করকে নিয়ে পপির ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন করে। সিআইডি কর্মকর্তা মুক্তা ধর আরও বলেন, ডায়মন্ড এসব ঘটনা জানতে পেরে আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সে ছুরি নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা করে এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও আসামি ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্যান্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচিত হওয়ায় সিআইডি তদন্ত শুরু করে এবং দিনাজপুর থেকে আসামি ডায়মন্ডকে গ্রেফতার করে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর