বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

ঝিনাইদহে ড্রাগন ফলের চাষ

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে ড্রাগন ফলের চাষ

ঝিনাইদহের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ। ইতিমধ্যেই তা বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা। আর লাভজনক এ ফলটির আবাদ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানালেন কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, ড্রাগন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। তারই একটি উদাহরণ কাগমারী গ্রামের গাছে গাছে ঝুলছে ড্রাগন ফল আবার কোনো গাছে এসেছে ফুল। চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ড্রাগনের চাষ। এক বিঘা পুষ্টিমান সম্পন্ন ড্রাগন চাষ করতে খরচ হয় ১ লাখ টাকা। বছর শেষে ড্রাগন ফল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও কালীগঞ্জসহ ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেক তরুণ উদ্যোক্তাসহ চাষিরা।

জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার চাষি হারুন-আর রশিদ মুসা জানান, প্রথমে ৬ বিঘা জমিতে চাষ করে লাভবান হন। এ বছর তিনি ২০ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন। মুসাই প্রথম ব্যাগিং পদ্ধতিতে বারী-১ ও বারী-৩ নামে উন্নত এ জাতের চাষ করেন। এ ছাড়াও কালীগঞ্জ উপজেলার সুরোত আলীসহ জেলার অনেকেই এ ফলের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ বছর ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ হয়েছে। গত বছর জেলায় মাত্র ৩৫ হেক্টর জমিতে এ ফলের চাষ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি দরে বাগান থেকেই বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে। আর বাজারের ব্যবসায়ীরা খুচরা দরে বিক্রি করেন ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে। ড্রাগন চাষ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন। অন্য যে কোনো চাষের চেয়ে ড্রাগন চাষ একটি লাভজনক চাষ। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই চাষ বৃদ্ধিতে কৃষকদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, এ ফল এক সময় বিদেশে চাষ হতো। এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। তার মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা অন্যতম। নাম ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ এখন এ ফলের বাগান দেখতে আসছেন। তারই উদাহরণ ড্রাগন বাগান দেখতে এসে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থীসহ অনেকেই। সেই সঙ্গে এ বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন স্থানীয় শ্রমিকরাও।

সর্বশেষ খবর