শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

পাবনা ও রাবি প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের ছাত্রাবাস থেকে এবং অন্য জনের লাশ নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর কক্ষ থেকে ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই’- লেখা সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল (২২) আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার ছাত্রাবাস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জামিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। সহপাঠীদের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য ছাত্রাবাসে থাকতেন জামিল। পারিবারিক বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি। ছাত্রাবাসে নিজের কক্ষে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ব্যাগের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা শহীদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় নিজ বাসায় ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দাপুর গ্রামে। শহীদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে নিজ রুমে গলায় ফাঁস দেয় ইমরুল। ঘটনার কিছুদিন আগে তার মায়ের কাছে মোটরসাইকেল চেয়েছিল সে। কিনেও দেওয়া হয়েছিল। আবার ঘটনার আগে সে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা চেয়েছিল। কিন্তু মধ্যরাতে ক্যামেরা কিনতে যাওয়া যাবে না বলে মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে রুমের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আরিয়ান নামে তার এক সহপাঠী জানান, ইমরুল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারেও ছিল কিছুদিন।গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মুশতাক আহমেদ বলেন, মানসিক হতাশা থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনতে তাদের নিয়ে বসা, ক্লাস করা উচিত।

সর্বশেষ খবর