বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

অ্যাঙ্গোলায় ১৪৯ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড নাজমুন নাহারের

প্রতিদিন ডেস্ক

অ্যাঙ্গোলায় ১৪৯ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড নাজমুন নাহারের

‘সবুজের বুকে লাল সে তো উড়বেই চিরকাল’- পৃথিবীতে এই লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে দিচ্ছেন আমাদের গর্বিত সন্তান অদম্য বীর নারী নাজমুন নাহার। নাজমুন নাহার বাংলাদেশের পতাকাবাহী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি।

সেই চিরকালের লাল-সবুজের পতাকা বহনকারী শান্তির বার্তাবাহক বিশ্বখ্যাত নাজমুন নাহার মধ্য আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায় ১৪৯ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন। ১৩ সেপ্টেম্বর নাজমুন পৌঁছান অ্যাঙ্গোলার মাটিতে। এরপর তিনি ওনদিবা, হুমবে, বালানগানগা, মনগুয়া, চাহামা, লুবানগো, বেনগুয়েলা, লবিতো, পোর্তো এমবোইম, কালামবা, বারা ডো কুয়ানজা হয়ে সড়ক-মহাসড়ক বন-জঙ্গল সমুদ্র পার হয়ে পৌঁছেছিলেন রাজধানী লুয়ান্ডার শহরে। ২৪ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলান সরকারের ডেপুটি মিনিস্টার এলসা বারবের নাজমুন নাহারকে অভিনন্দন জানান ১৪৯ দেশে বাংলাদেশের পতাকা বহনের পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য। অ্যাঙ্গোলার বিখ্যাত নারী মন্ত্রী এলসা বারবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নাজমুন নাহারকে শান্তির ব্যাজ পরিয়ে দেন। মন্ত্রী তার বিশেষ বার্তায় একজন নারী হিসেবে সারা বিশ্বে নাজমুন নাহারের এই অবদানকে আগামী প্রজন্মের উৎসাহের ধারক বলে উল্লেখ করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ‘জার্নাল দ্য অ্যাঙ্গোলা’য় নাজমুনের জীবন ও বিশ্ব ভ্রমণের ওপর এক বিশেষ ইন্টারভিউ হয়। তারপর ২৫ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল রেডিও দ্য অ্যাঙ্গোলায় নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আজ অ্যাঙ্গোলায় মিনিস্টার অব জাস্টিসের আমন্ত্রণে মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস অফিসে বিশেষ সাক্ষাৎ করবেন নাজমুন। নাজমুন নাহার এবারের অভিযাত্রা শুরু করেছেন ৬ আগস্ট। এ অভিযাত্রায় তিনি বুরুন্ডি, ডি আর কঙ্গো, সাউথ সুদান, নামিবিয়া ও অ্যাঙ্গোলা সফর করেন। এখান থেকেই তিনি ১৫০ দেশ ভ্রমণের মাইলফলক স্পর্শ করবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলা প্রবাসী বাংলাদেশিরা অ্যাঙ্গোলার জেনিয়া রিসেপশন হলে নাজমুন নাহারকে অনাড়ম্বর সংবর্ধনা দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাঙ্গোলা মিনিস্ট্রি অব কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম অ্যান্ড আম্বিয়েন্টের ডেপুটি সেক্রেটারি আনা গ্রাসিয়া। মিস আনা গ্রাসিয়া নাজমুন নাহারের ১৪৯ দেশে ভ্রমণে শান্তির বার্তা বহনের বিশেষ কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, নাজমুন সারা বিশ্বের নারীদের এক সাহসিকতার প্রতীক। এ ছাড়া গেস্ট স্পিকার উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত মিস্টার মোস্তাক আহমেদ ও ডা. নাজনীন আহমেদ। মোস্তাক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, নাজমুন নাহার বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে যেভাবে তুলে ধরছেন তা সত্যি বিরল সাহসিকতার কাজ। এটি বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে ইতিহাস করে রাখবে।

বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যক্তিত্ব তিনতা অ্যামেলিয়ার ডিরেক্টর আল আমিন হীরার নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আনামুল হক। এ ছাড়া হোস্ট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোয়াবে কর্মরত গোলাম সারওয়ার। বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত আবদুর রব রাসেল, নাদিম আহমেদ ও মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ অ্যাঙ্গোলার প্রবাসী বাংলাদেশিরা নাজমুনকে অভিনন্দিত করেন। নাজমুনের জীবনের ওপরের তথ্যচিত্র ও প্রেজেন্টেশন প্রদর্শিত হয়। বক্তারা বলেন, ‘আমাদের নাজমুন নাহারের হাত ধরেই বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা পৃথিবীর পথে পথে উড়ছে। তিনি পৃথিবীতে শান্তির বার্তাবাহক। তিনি আমাদের দেশকে আলোকিত করে তুলছেন পৃথিবীর পথে পথে তার অভিযাত্রার মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়। অচিরেই গড়বেন মাইলফলকের ইতিহাস।’

সর্বশেষ খবর