বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

শাঁখারীবাজারে পূজার কেনাকাটা জমজমাট

জবি প্রতিনিধি

শাঁখারীবাজারে পূজার কেনাকাটা জমজমাট

সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শাঁখারীবাজারে কেনাকাটায় ধুম পড়েছে। ১১ অক্টোবর থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। তবে শারদীয় দুর্গোৎসবের আগেই রং ছড়াচ্ছে শাঁখারীবাজার।

পূজার আগে দেবী দুর্গাকে সাজাতে কেনাকাটায় ব্যস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শাঁখা, শঙ্খ, প্রতিমা, কাপড়, কীর্তনের মালা, ঘণ্টা, ঘট, প্রদীপ, ধুপতি, ঠাকুরের মালা, জপের মালা, মুকুট, ধুতি, পাঞ্জাবিসহ নানা প্রকার পূজার সরঞ্জাম কেনাকাটা করছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, শাঁখারীবাজারের দোকানে দোকানে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। পূজা উপলক্ষে ঢাকার আশপাশের বিক্রেতারা জিনিসপত্র পাইকারি দরে কিনে নিচ্ছেন। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের পুরো পরিবারসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে কেনাকাটা করছেন। তবে এ সময় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার অবহেলা দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি করছেন শাঁখারী বাজারের প্রতিমাশিল্পীরা। মাটি দিয়ে কারিগররা সুনিপুণ নৈপুণ্যে দেবীর প্রতিমা সাজাচ্ছেন। মা তারা ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রাজন বলেন, মহামারীর কারণে গত বছর বেশ খারাপ অবস্থা হয়েছে। এবার ভালো বেচাকেনা হচ্ছে, দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন। শঙ্খ স্মৃতি ভান্ডারের দোকানি বিধান রায় বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রকার শাঁখা, ঘণ্টা, ঘট, প্রদীপ, ঠাকুরের মালা, জপের মালা সুলভ মূল্যে বিক্রি করে থাকি। তবে করোনার কারণে মানুষের হাতে টাকা-পয়সা কম। তবে গতবারের চেয়ে এবার ভালো কাস্টমার পাচ্ছি।’ লক্ষ্মীপুর থেকে অঞ্জরি রায় আসেন পূজার কেনাকাটা করতে।

 তিনি বলেন, ‘গতবার ভালোভাবে কেনাকাটা করতে পারিনি। ছেলেমেয়েদের জন্য কেনাকাটা করেছি। মোটামুটি কম দামেই জিনিসপত্র পেয়েছি।’ ষষ্ঠী থেকে শুরু করে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।

সর্বশেষ খবর