শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় স্ত্রী হত্যায় পুলিশের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর তার গলায় কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে পুলিশ স্বামী মো. মাহমুদ আলম। ওই অবস্থায় লাশের পাশে প্রায় ৩ ঘণ্টা শুয়ে ছিলেন। পরে ঘর থেকে বেরিয়ে পুকুরে গোসল করতে যায়।

২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল খানজাহান আলী থানা যোগিপোল এলাকায় এ হত্যার ঘটনায় গতকাল দুপুরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো ঘাতক স্বামী খুলনার ৩, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) নায়েক মাহমুদ আলমকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাহমুদ সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার জামালনগর গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে। রায় ঘোষণাকালে তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহমুদ আলম মাঝে মধ্যে তার স্ত্রী যোহানা আক্তার ঊষাকে মারধর করতেন। কিন্তু ঘটনার দিন শ্বাসরোধে হত্যার পর স্ত্রীর গলায় কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। ওই অবস্থায় প্রায় ৩ ঘণ্টা লাশের পাশে শুয়ে ছিল মাহমুদ। আদালতে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দিতে আসামি এসব কথা স্বীকার করেছেন। নিহত যোহানা উষা পাইকগাছা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন গাজীর মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিএম সোহেল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নৃপেন বিশ্বাস ওই বছরে ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের ভাই ও মামলার বাদী সোহেল ইসলাম। তিনি রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর মাহমুদ আলমের সঙ্গে তার বোন যোহানা উষার পারিবারিক বিয়ে হয়। এর মাত্র ছয় মাস পরেই ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর