শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষ

বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁ। ধান চাষের পাশাপাশি রসালো ফল ড্রাগনের চাষ হচ্ছে এখানে। এলাকার জমিগুলো এঁটেল-দোআঁশ বলে ফলগুলো খুবই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। নওগাঁর পোরশায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই ড্রাগনের বাগান। এতে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে নওগাঁর ড্রাগন। জানা গেছে, নওগাঁর পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে ২৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ড্রাগন ফলের বাগান। সারি সারি করে রোপণ করা হয়েছে সুস্বাদু ও সুমিষ্ট ড্রাগনের গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে সবুজ আর গোলাপি রঙের ফল। এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য। এ অঞ্চলে পানি স্বল্পতার কারণে ভালো ফসল না হওয়ায় ২০১৯ সালে আট হাজার ড্রাগনের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করে শাহজামাল নামে এক যুবক। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে প্রথম বছরে বিক্রি করেন ৬ লাখ টাকার ফল। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আরও ৪০ হাজার চারা রোপণ করেন। চলতি বছর ২০১৯ সালে রোপণকৃত ড্রাগন ফল থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন আরও ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা তার। যারা বেকার আছেন তাদের বসে না থেকে ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করে বাগান তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, ড্রাগন চাষে সার আর কিটনাশকের খরচ কম। রোগবালাইও কম। রোপণের ছয় মাসের মাথায় ফল বিক্রি শুরু হয়। ড্রাগন বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দামও বেশি। শুধু তাই নয়; এমন সাফল্য দেখে অনেক বেকার যুবক শুরু করেছেন ড্রাগনের চাষ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির অভাবে মৌসুমি ফসল ভালো না হওয়ায় ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এ এলাকার মানুষ। জমিগুলো এঁটেল-দোআঁশ বলে ফলগুলো খুবই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফল জেলায় প্রথম চাষ হওয়ায় চাহিদা বেশি; দামও ভালো। তাই কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও আরও বেশি ড্রাগন উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর