শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

৪৫ বছর পর দেখা

অশ্রুসিক্ত মাহবুব ও সিরাজ একে অন্যকে খাওয়ালেন মিষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৫ বছর পর দেখা

মাহবুব তালুকদার ও সিরাজুল আলম খান মাঝে লেখক মহিউদ্দিন আহমদ

একই শহরে থাকলেও দুই বন্ধুর দেখা হয় না বহুকাল। অবশেষে দুই বন্ধুর অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎ হলো সুদীর্ঘ ৪৫ বছর পর। তাঁদের একজন রাজনীতির রহস্যপুরুষ হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান, অন্যজন আলোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। প্রথম দেখায় দুই বন্ধু পরস্পরের দিকে অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। মুহূর্তের ঘোর কাটতেই ‘কীরে! কেমন আছিস’ বলে শুরু হয় দুই বন্ধুর কথোপকথন। এ সময় সিরাজুল আলম খানের বাসভবনে তৈরি হয় এক আবেগঘন অশ্রুসিক্ত পরিবেশ। দুজন দুজনের মুখে মিষ্টি তুলে দেন। এরপর ঘণ্টাখানেক আড্ডা, কফি পান, স্মৃতিচারণা। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা, পুরনো বন্ধুদের কথা দুই বন্ধু জানতে চান দুই বন্ধুর কাছে।

গতকাল আলোচিত দুই বন্ধুর এ দেখা-সাক্ষাতের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসে তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। নিজের ফেসবুক পেজে মহিউদ্দিন আহমদ লেখেন, ‘১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেক্রেটারি শেখ ফজলুল হক মণি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সিরাজুল আলম খান, কালচারাল সেক্রেটারি মাহবুব তালুকদার। মাহবুব তালুকদার আবার ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার এবং ছাত্রলীগের একুশে সংকলনের সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে দুজনের ‘তুই’ সম্পর্ক, শেখ মণি আর সিরাজুল আলম খান। ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁরা। শেখ মণি আর নেই।’ ‘মাহবুব আর সিরাজ পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার ও কথা বলার আগ্রহ দেখালেন। আমি হলাম অনুঘটক। কাল (বুধবার) বিকালে মাহবুব তালুকদার আমার বাসায় এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেলেন সিরাজুল আলম খানের কাছে। বন্ধুর জন্য বই আর ফল নিলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ও কি মিষ্টি খায়? বললাম সব খায়। ডায়াবেটিস নেই। পথে পড়ল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার। বন্ধুর জন্য কিনলেন সন্দেশ।’

‘সকালেই খবর দিয়েছিলাম, শেষ বিকালে আমরা দুজন আসব। ঘরে ঢুকেই দুজন দুজনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। “কীরে! কেমন আছিস” বলে কথা শুরু। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দেখা হলো দুজনার। তৈরি হলো এক আবেগঘন পরিবেশ। দুজন দুজনের মুখে সন্দেশ তুলে দিলেন। তারপর ঘণ্টাখানেক আড্ডা, কফি পান, স্মৃতিচারণা। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা- তাদের বন্ধুদের আর কে কে বেঁচে আছেন, কোথায় আছেন। আমি একটা অসম্ভব সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকলাম। জানি না তাদের দুজনের আবার দেখা হবে কি না। দুজনেই আশি পেরিয়েছেন। ভগ্নস্বাস্থ্য। ছলছল চোখে পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিলেন তারা।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর