ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, সামাজিক পরিবর্তন যেভাবে হচ্ছে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবর্তিত হতে পারছে না। একটি পরিবারে যখন মা-বাবা উভয়েই কর্মজীবী তখন তাদের মেন্টাল স্ট্রেস বা রাগ প্রশমনের জন্য যে কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন- তা করা হচ্ছে না। সন্তানরাও তাদের মা-বাবার কাছ থেকে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না। একজন মা-বাবা যখন অবসাদগ্রস্ত থাকেন তখন তাদের পক্ষে ‘প্যারেন্টিং’ এক ধরনের বাধা। অভিভাবক হিসেবে মা-বাবাকেও সন্তানের চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে তাদের সঙ্গে সপ্তাহে দুই-তিন দিন আলোচনায় বসতে হবে। পরিবারে সময় দেওয়ার দায়িত্ব বাবা-মা দুজনেরই। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায়ও খুব নেতিবাচক খবর প্রচার হচ্ছে। যা মানুষকে অপরাধপ্রবণ হওয়ার জন্য উসকে দেয়। আবার একটি সন্তান যখন দেখে যে, তার মা-বাবা নেতিবাচক সম্পর্কের মধ্যে আছে তখন এ ধরনের সহিংসতা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের মধ্যে চলে যায়। ফলে এই শিশুরাও একসময় অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। ব্যস্ততার কারণে আমাদের পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ এখন কমে এসেছে। এ ধরনের সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতা একটা বড় সময় ধরে আমাদের বহন করতে হবে। এগুলো প্রতিরোধে আমাদের স্কুলগুলোতে যে পর্যাপ্ত সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা আমরা তা করতে পারিনি। পরিবারের ভিতর এখনো আমরা কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারছি না। সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে।