শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

কুমিল্লার দারোগা বাড়ি মসজিদ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লার দারোগা বাড়ি মসজিদ

দারোগা বাড়ি মসজিদ। কুমিল্লা নগরীতে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন স্থাপনার মধ্যে অন্যতম। মসজিদের সঙ্গে রয়েছে শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) মাজার। এখানে প্রতি শুক্রবার ও বিশেষ দিবসে মুসল্লিদের ঢল নামে। বিশেষ করে শবেবরাতের সময় মসজিদের আঙিনা ও সংলগ্ন পুকুরের তিন পাড়ে পা ফেলার জায়গা থাকে না। সূত্রমতে, ১২১৪ হিজরিতে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় রিয়াজউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ২০০ বছরের প্রাচীন মসজিদটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট। চারপাশে রয়েছে ১২টি মিনার। দেয়ালের পুরুত্ব ৩ ফুটের বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জের পাশে ইউসুফ স্কুল। স্কুলের পাশ ঘেঁষে যাওয়া রাস্তা ধরে এগোলে দারোগা বাড়ি এলাকা। সেখানে রয়েছে মাঝারি আকারের একটি পুকুর। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে মসজিদ ও মাজার। পুকুরের ঘাটলায় রয়েছে অজুর ব্যবস্থা। মসজিদের পাশে রয়েছে মাজার। শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) ভারতের কানপুরের বাসিন্দা। কুমিল্লা হয়ে মিয়ানমার যাওয়ার পথে এখানে বিশ্রাম নেন। পরিচয় হয় দারোগা বাড়ি মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে। শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) ইসলাম প্রচারের জন্য এখানে থেকে যান। মৃত্যুর পর এখানে তাকে দাফন করা হয়। মসজিদের দানবাক্সে মানুষ প্রতি মাসে লাখ টাকা দান করেন। তা তদারকি করছে জেলা প্রশাসন। মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াছিন নুরী বলেন, এখানে মাঘ মাসের প্রথম জুমাবার ওরস হয়। এই মসজিদ দেখতে দূর থেকে মানুষ আসেন। ২ হাজার মুসল্লি এখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। বিভিন্ন দিবসে এখানে হাজার হাজার মানুষ আসেন। মসজিদে মুসল্লিদের জায়গা হয় না। মসজিদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহাদাত হোসেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, মসজিদটি সম্প্রসারণের জন্য আমরা কমিটি করেছি। উপরে নাকি পাশে সম্প্রসারণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্তের পর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর