শিরোনাম
রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

দর্শকহৃদয় জয় ‘চন্দ্রবতী কথা’র

নিজস্ব প্রতিবেদক

দর্শকহৃদয় জয় ‘চন্দ্রবতী কথা’র

মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’। ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের প্রযোজনায় এবং বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সহযোগিতায় এটি নির্মিত হয়েছে। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ার মিরপুর, এসকেএস টাওয়ার মহাখালী, যমুনা ব্লকবাস্টার ও সিনেস্কোপ নারায়ণগঞ্জে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। হল থেকে ফেরা দর্শকদের তাৎক্ষণিক মন্তব্যে জানা যায়, ছবিটির নির্মাণশৈলী, গল্প, অতীতের পটভূমি, নাটকীয় উপস্থাপনা সব কিছুই ছিল চিত্তাকর্ষক। এ ধরনের ভালো ছবি দেশে নিয়মিত তৈরি হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি ছবির মুখ উজ্জ্বল হবে। চন্দ্রাবতীর জীবনী দেখানোর সঙ্গে এই চলচ্চিত্রে ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফরম্যান্স স্টাইল উঠে এসেছে। যদিও সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় সেন্সর বোর্ড সিনেমাটি আটকে রাখে। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোন ধরনের কর্তন ছাড়াই সেন্সর ছাড়পত্র পায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’। প্রসঙ্গত, চন্দ্রাবতীকে বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি বলা হয়। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং অসম্পূর্ণ রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের নাটকীয় এবং একইসঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন। ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রটি। সরকারি অনুদানে ছবিটি নির্মিত হলেও সার্বিক নির্মাণের স্বার্থে তিন বছর আগে এই চলচ্চিত্রের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সবসময় সর্বপ্রকারে এর কার্যক্রমের সঙ্গে থেকেছে এবং বিনিয়োগ করেছে। সুস্থ ছবি যেন সগৌরবে প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসে এবং সুস্থধারার দর্শকও যেন উপকৃত হন সে আশায় বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কর্তৃপক্ষ ‘চন্দ্রবতী কথা’ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার(১২ অক্টোবর) রাজধানীতে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ।

সর্বশেষ খবর