সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা। কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে তা থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। এক সময় খেজুর রস ও গুড়ের জন্য আত্রাই উপজেলার খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী              খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও অধিকাংশ বাড়িতে, খেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিকভাবে বেড়ে উঠা এসব গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্তার ধারে পরিবেশবান্ধব খেজুরগাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

নাটোরের লালপুর উপজেলা থেকে আসা গাছি কালাম মিঞা জানান, আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরই আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের জমিতে তাঁবু গেড়ে ওই এলাকার খেজুরগাছ মালিকদের কাছ থেকে চার মাসের জন্য গাছভেদে পাঁচ থেকে সাত কেজি করে খেজুরের গুড় দিয়ে গাছগুলো আমরা নেই। চাহিদা মতো খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরূপ গুড় তৈরি করতে পারি না। তার পরও এ বছর প্রায় ২শটির বেশি খেজুর গাছের মালিকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। বর্তমান বাজারে আখের গুড় ও চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এ বছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউছার হোসেন জানান, দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুরগাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুরগাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর