ধামরাইয়ে প্রেমিককে আটকে রেখে তার জিহ্বা কেটে ফেলার ঘটনায় পুলিশ প্রেমিকা শারমিন আক্তার, তার বাবা শফিকুল ইসলাম, মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। গত রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, ধামরাইয়ে ফরিঙ্গা গ্রামের শারমিন আক্তার দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। সেখান থেকে একই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে নরসুন্দর সাইফুর রহমানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় কয়েক মাস আগে শারমিন দেশে আসেন। তখন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন সাইফুর। কিন্তু পরে শারমিনকে বিয়ে করার ব্যাপারে তালবাহানা শুরু করেন সাইফুর। এতে করে একপর্যায়ে গত শনিবার রাতে প্রেমিকা শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুরকে বাড়িতে ডেকে এনে হাত-মুখ বেঁধে ফেলেন। এতে সহযোগিতা করেন শারমিনের স্বজনরা। তারা সবাই মিলে সাইফুরকে বেদম মারপিট করে জিহ্বা কেটে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী সাইফুরকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সাইফুরের বাবা রহমত আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। রহমত আলী জানান, ‘শুধু প্রেমের সর্ম্পক নয়, শারমিনের কাছে পাওনা ৬০ হাজার টাকা চাওয়ার কারণেই তার ছেলে সাইফুর রহমানকে কৌশলে আটকিয়ে মারধর করে জিহ্বা কেটে দিয়েছে।’ তবে স্থানীয়রা জানান, আশ্বাস দিয়েও শারমিনকে বিয়ে না করার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তন্ময় সাহা বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে রাখা জিহ্বা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিকা শারমিনসহ তার পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
