রাজধানীর রাজারবাগ পীরের সব সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান ও জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা তদন্ত করতে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন গতকাল খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ইমান আলীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মামলার বিবাদী মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এই আপিল করেন। আদালতে মফিজুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা এবং রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শিশির মনির। আদেশের পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে তাদের সম্পত্তির উৎস খোঁজার তদন্ত চলবে। একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে রাজারবাগের পীর ও তার মুরিদদের বিরুদ্ধে আট ভুক্তভোগী হাই কোর্টে রিট করেন। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়। রুলে আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ক্রমাগত ফৌজদারি মামলা দায়েরে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। সেই সঙ্গে এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। আদেশে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পদ রয়েছে, তা নির্ণয় করে সম্পদের উৎস সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পীর ও তার পৃষ্ঠপোষকতায় উলামা আঞ্জুমান বাইয়িন্যাত অথবা ভিন্ন নামে কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, সে বিষয়ে ৩০ নভেম্বরের আগে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন মফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়।