জনস্বাস্থ্যবিদ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সবার মধ্যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে। এই অবহেলা ভাইরাসকে সুযোগ করে দিতে পারে। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি দ্রুত টিকা নিশ্চিত করতে হবে। বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনলে মৃত্যুহার নিম্নমুখী থাকবে।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা রোগী শনাক্তে আরটি-পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট ও জিন এক্সপার্ট মেশিনে করোনা শনাক্তের কাজ চলছে। এ জন্য জ্বরসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করতে হবে। রোগী শনাক্ত হলে হাসপাতালে ব্যবস্থাপনায় নিতে হবে। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পরামর্শ এবং নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনের জন্য সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব নিতে হবে। জনগণকে সুস্থ থাকতে সচেতন হতে হবে। ডা. মুশতাক হোসেন আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অফিস, শপিং মল, দোকানে, বাসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাসে ভিড় হলে জানালা খুলে দিতে হবে।
বদ্ধ জায়গায় বেশি মানুষ জমায়েত হওয়া যাবে না। বদ্ধ জায়গায় করোনা বেশি ছড়ায়। টিকাদান দ্রুত করতে হবে। টিকা নিশ্চিত করতে পারলে মৃত্যুঝুঁকি কমানো যাবে। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহে কমতি নেই। টিকার ধারাবাহিক প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকার আওতায় আনলে সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যুহার কম থাকবে। রাশিয়া, মধ্য এশিয়াতে সংক্রমণ বাড়ছে, সঙ্গে মৃত্যুহারও বাড়ছে। টিকা নেওয়ার অনীহার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।