শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজেও ব্যাপক সাড়া

১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা ১ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে নেওয়া টিকা ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজেও ব্যাপক সাড়া মিলেছে দেশব্যাপী। এক মাস আগে যাদের করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের আগামী ১ নভেম্বর টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টায় সারা দেশের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার নির্ধারিত কেন্দ্রে এই টিকাদান শুরু হয়। বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর চীনের সিনোফার্মের তৈরি কভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। সে সময় দুই দিনে ৮৩ লাখের বেশি মানুষকে টিকার  প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। তখন যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল, সেই কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি কেন্দ্রে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা দিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার বলেন, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে টিকা ক্যাম্পেইনের আওতায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার যারা টিকা নিতে পারবেন না তাদের জন্য শনিবারেও টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র আবু নাসের বলেন, ডিএসসিসির ৭৫টি কেন্দ্রে টিকাদান চলছে। এসব কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছিলেন ২৮ হাজার ৭০২ জন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। যদি কেউ বৃহস্পতিবারে না নিয়ে থাকেন তাদের জন্য আগামী সপ্তাহে টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তারা ডিএসসিসির আওতাধীন পাঁচটি আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর শিশু হাসপাতাল থেকে আগামী সপ্তাহে টিকা নিতে পারবেন। প্রথম ডোজ নেওয়া কেউ যেন বাকি না থাকে সে জন্য এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে তাদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। প্রথমে ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। পরে কেন্দ্র আরও বাড়ানো হবে। প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে।’ গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরের ২১টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী যেসব স্থানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা নেই সেখানে দ্রুততার সঙ্গে শীতাতপ সুবিধা তৈরি করা হবে। ঢাকায় টিকা কেন্দ্র বৃদ্ধি করাসহ দেশের সব জেলাতেই ক্রমান্বয়ে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। পর্যাপ্ত ফাইজারের টিকা সরকারের হাতে মজুদ আছে। এখন ঢাকায় শুরু করে পরে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। নভেম্বরে আরও ৩৫ লাখ ফাইজারের টিকা আসবে। গতকাল সিনোফার্মের ৫৫ লাখ টিকা এসেছে। এ নিয়ে মোট টিকা মজুদের পরিমাণ ২ কোটি।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘টিকা দেওয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়াও গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় দেওয়া ৮০ লাখ লোককে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এটি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

সর্বশেষ খবর