বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নতুন নয়। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সেটির একটিই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আর সেই উদ্দেশ্যটা হলো, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা এবং সামনে যে ‘নির্বাচন নির্বাচন খেলা’ আসছে, সেই খেলায় আবারও জয়লাভ করা। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতেই আওয়ামী লীগের এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে, তারা এসব ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চায়। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের এক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক ফোরামের আহ্বায়ক বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য- সহিংসতার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসা। এজন্য পরিকল্পিতভাবে একজন পাগলকে দিয়ে পূজামন্ডপে কোরআন রাখা হলো। মুসলমানরা আন্দোলনে নামল। আবার হাজীগঞ্জে হামলা করা হলো। আমরা রংপুরে দেখেছি, ছাত্রলীগের দুজন নেতা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশে মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটানোর পর ভারতের ত্রিপুরায় মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এগুলো সব একই সূত্রে গাঁথা।
