তালাক না হওয়া সত্ত্বেও অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ক্রিকেটার নাসির হোসাইন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও শাশুড়ি সুমি আক্তার। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করে। এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে নাসির-তামিমাসহ তিনজন আদালতে উপস্থিত হন। এ ছাড়া মামলার বাদী তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান আদালতে উপস্থিত হন। এরপর তাদের উপস্থিতিতে জামিন শুনানি শুরু হয়। এ সময় জামিন চেয়ে আসামি পক্ষের শুনানিতে আইনজীবী কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু বলেন, ‘আদালত সমন দিয়েছিলেন। আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে এসেছেন। আসামিরা সমন অনুযায়ী স্বেচ্ছায় এলে তাদের জামিন দেওয়া আদালতের একটি প্র্যাকটিস। তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।’ অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলেও জামিনের আবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি। আসামিরা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি ডকুমেন্ট সৃজন করে তালাক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তাই আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন। ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ক্রিকেটার নাসিরসহ তিনজনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিসও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিস তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মি এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মির বিয়ে অবৈধ।
