বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
আসছে নতুন নীতিমালা

বরেণ্যদের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠান হবে সরকারিভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণে অবদান রাখা বরেণ্য ব্যক্তিদের কর্ম স্মরণীয় করতে তাদের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী সরকারিভাবে পালন করা হবে। এজন্য ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষণ ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন নীতিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী, নৃতত্ত্ব ব্যক্তিত্ব এবং ভাষা, রাজনীতি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় অবদান রাখা প্রয়াত-জীবিত বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবনকর্ম নিয়ে জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠানের             আয়োজন করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়াত বা জীবিত বরেণ্য ব্যক্তিদের তালিকা করা হবে। বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবন, কর্ম ও অবদানের ওপর ভিত্তি করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বরেণ্য ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওতাধীন দফতর বা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেবে। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় প্রশাসন ও দফতর বা সংস্থার নামসহ প্রস্তুত করা হবে বছরভিত্তিক ক্যালেন্ডার। একই সঙ্গে তাদের জীবনাচরণ, কর্ম ও অবদানের ওপর গবেষণা এবং প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের বরেণ্য ব্যক্তি বা গুণীজনদের তাদের জীবন-কর্ম-অবদান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে নির্বাচন করবে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর বা সংস্থা তাদের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের বরেণ্য ব্যক্তি বা গুণীজনদের অবদান বা কর্মসহ তালিকা প্রস্তুত করে প্রমাণসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে মূল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করবে। একই সঙ্গে প্রতি বছর অনুষ্ঠান আয়োজনের সম্ভাব্য বাজেটসহ প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। জেলা প্রশাসকরা নিজ জেলার বরেণ্য ব্যক্তিদের জনহিতকর কাজের অবদান উল্লেখ করে তালিকা প্রণয়ন করে তালিকাভুক্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এ-সংক্রান্ত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মন্ত্রণালয়, দফতর-সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনিক পর্যায়ে আলাদা আয়োজক কমিটি থাকবে। কমিটি অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যয় পর্যালোচনা করে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় করবে। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়- প্রতি বছর ২০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি দফতর বা সংস্থা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনুষ্ঠানের নাম, সম্ভাব্য তারিখ, ধরন (জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী, স্মরণসভা, জীবনকর্মভিত্তিক আলোচনা, আলোচনা সভা ইত্যাদি) এবং প্রস্তাবিত বাজেট (বিভাজনসহ) মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থা বরেণ্য ব্যক্তির নিজ জন্মস্থান, আঞ্চলিক পর্যায় বা জাতীয় পর্যায়ে জন্ম-মৃত্যু তারিখে বা কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এ ক্ষেত্রে বরেণ্য ব্যক্তির পরিবারকে ওই অনুষ্ঠানে সম্পৃক্তের ব্যবস্থা করতে হবে। সংস্কৃতি সচিবের নেতৃত্বে বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকীসংক্রান্ত চূড়ান্ত বাছাই কমিটি ও অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন) নেতৃত্বে থাকবে প্রাথমিক বাছাই কমিটি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হবেন চূড়ান্ত কমিটির উপদেষ্টা। বাছাই কমিটি মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে মূল কমিটির কাছে পাঠাবে। তালিকা চূড়ান্ত করবে চূড়ান্ত বাছাই কমিটি। প্রতি বছর ২০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি দফতর ও সংস্থাকে বরেণ্য ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অনুষ্ঠানের নাম, সম্ভাব্য তারিখ, ধরন ও প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর