মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘুণেধরা সমাজের গল্প বোধ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ঘুণেধরা সমাজের গল্প বোধ

একটি বোধহীন সমাজব্যবস্থার গল্প নিয়ে নাটকের দল সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন করল নাটক ‘বোধ’। গতকাল জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। মুন্সী প্রেমচাঁদের গল্প অবলম্বনে স্বপন দাসের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন মোস্তফা হীরা।

একটি বোধহীন সমাজব্যবস্থায় বাস করছে এ সমাজের মানুষ। ঘিসু ও মেধোও এর বাইরে নয়। পিতা ঘিসু ও পুত্র মেধো বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পর্যদুস্ত। ক্ষুধা তাদের করে তুলেছে অমানবিক, স্বার্থপর। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সম্পর্কের বন্ধন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখে না তাদের জীবনে। তাই নাটকে দেখা যায় সামান্য কয়েকটি সিদ্ধ আলু নিয়ে পিতা-পুত্রের লড়াই। নিজের সন্তানসম্ভবা পুত্রবধূর অতিসামান্য খাদ্য কেড়ে নিতে ঘিসু উদ্বুদ্ধ করে পুত্র মেধোকে। মেধোও বোধহীন এক জন্তুর মতো কেড়ে নেয় বধূর সেই সামান্য খাবার। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মো. হাবীবুর রহমান, মাইনুল ইসলাম, নাঈমা তালুকদার বন্যা, ওয়ালিদ আহমাদ চৌধুরী, মাসুদ আলম বাবু প্রমুখ। উজান বই আলোচনার প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান : দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ও সাহিত্যের অনূবাদ নিয়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান উজান আয়োজিত বই আলোচনার প্রতিযোগীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বিজয়ী তিনজন ছাড়াও নির্বাচিত দশজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সরোজ মোস্তফা, দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন ইলিয়াস বাবর ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন মাজেদা মুজিব। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয় ২০ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকার চেক। আর নির্বাচিত প্রত্যেককে প্রদান করা হয় ৫ হাজার টাকার বই কুপন। নির্বাচিত দশজন হলেন- মিলু হাসান, জাহিদ সোহাগ, সিরাজুম মুনিরা, সম্প্রীতি মল্লিক, অলাত এহসান, হারুন সুমন, রুম্মানা জান্নাত, ফাহাদ হোসেন, হাসান জামিল ও আবিদা তাহনি প্রমি। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ী ও নির্বাচিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।

কে এম খালিদ বলেন, দেশের মানুষের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ভাবের আদান-প্রদানের কোনো বিকল্প নেই। অন্যের ধর্ম-বর্ণ ও সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে কোনো জাতি বড় হতে পারে না। হানাহানিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভূমিকা অনন্য। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি একটি দেশকে সংস্কৃতিতেও সমৃদ্ধ হওয়া জরুরি। ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ সম্পাদিত ‘কোরিয়ার গল্প’ ও ছন্দা মাহবুব অনূদিত কোরিয়ার কবিতা’ বই দুটি নিয়ে বই আলোচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রকাশনা সংস্থা উজান। এ বই দুটি নিয়ে সারা দেশ থেকে অসংখ্য পাঠক আলোচনা পাঠান। আর তার মধ্য থেকেই বিজয়ী তিনজন ও নির্বাচিত দশজনকে বাছাই করা হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও নির্বাচিতদের লেখাগুলো বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার পত্রপত্রিকা কিংবা সাময়িকীতে বাংলা, ইংরেজি ও কোরিয়ান ভাষায় প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান উজানের সমন্বয়ক সুলতান আহম্মেদ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর