ফেরি সংকট ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভয়াবহ ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের চাপে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাঝে মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেরির নাগাল পেতে যানবাহন চালকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে তিন দিন পর্যন্ত। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাস ও প্রাইভেটকার পার করছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। যানবাহনের চাপে যাত্রীবাহী বাসকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে লঞ্চে ফেরি পার হয়ে চলে যাচ্ছে। এতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফেরিঘাটে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও ফেরি বাড়ানো হয়নি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। গতকাল সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৩ শতাধিক যানবাহন। অন্যদিকে এই মহাসড়ক সচল রাখার জন্য রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন। যানবাহনের চালকরা জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এক সময় ২০টি ফেরি চলাচল করত। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এই ফেরি বৃদ্ধি করেছিল। সেখান থেকে ফেরি কিভাবে হ্রাস করা হলো। বর্তমানে তিন দিন পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে সারা রাত থাকতে হচ্ছে। অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। এই ভোগান্তির জন্য দায়ী ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরি বাড়ানোর দাবি করেন যানবাহনের চালকরা। রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ৩০০ এবং গোয়ালন্দ মোড়ে ৫০০ ট্রাক আটকে রয়েছে। ফেরি বৃদ্ধি না করা গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কর্মরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি’র) ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
