বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তিন দিনের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে বাস সার্ভিসের সিটিং ও গেটলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর এলাকায় চলাচলকারী কোনো বাস সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সার্ভিস থাকবে না। এ ধরনের সার্ভিস অবৈধ। আগামী তিন দিনের মধ্যে এটা বন্ধ করা হবে। নগর পরিবহনের সব বাসই লোকাল বাস হিসেবে চলবে। যাত্রীরা বাসের চার্ট দেখে ভাড়া দেবেন। বাস মালিক, শ্রমিক, বিআরটিএ ও ডিএমপির সমন্বয়ে গঠিত ১১টি ভিজিলেন্স টিম এটা মনিটরিং করবে। এ ছাড়া আগামী তিন দিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসের মধ্যে স্টিকার লাগানো হবে। এতে   যাত্রীরা তাদের ন্যায্য ভাড়া দিতে পারবেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রমনায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যৌথভাবে রমনার ইউনিক হাইটস ভবনের চতুর্থ তলায় নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বাস ভাড়া পুনর্র্নির্ধারণের পর বিআরটিএ ও ডিএমপির অভিযানে যেসব বাসকে জরিমানা করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ‘সিটিং ও গেলক’ সার্ভিস হিসেবে ঢাকার সড়কে চলছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সিএনজিচালিত বাস নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের অনুসন্ধানে ১২০টি কোম্পানির ৬ হাজার বাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বাস পাওয়া গেছে। দূরপাল্লায় সিএনজিচালিত বাস নেই। বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ে ১১টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তারা আগামীকাল (আজ) থেকে মাঠে নামবে। বেশি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সারা দেশে ১ লাখ বাস-মিনিবাস চলাচল করে। আমরা সেবামূলক মনোভাব নিয়ে বাস সার্ভিস দিয়ে থাকি। কোনো বাস দুর্ঘটনার শিকার হলে চালককে ঘাতক বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। অথচ দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রী ও পথচারীর পাশাপাশি চালকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে সবার সহানুভূতিমূলক আচরণ করা উচিত। সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট দূরপাল্লার বাসে ও কাউন্টারে থাকবে।’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর