শিরোনাম
শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে অস্থির বাজার

সব পণ্যের দাম বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক সপ্তাহ আগে সরকার ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। বাজারে প্রচুর সবজির সরবরাহ। শীতের সবজিতে বাজার এখন ভরপুর। তবে দাম কমেনি কোথাও। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ সবধরনের সবজিতে বাজার ভরপুর। এর বাইরে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, সরকার এক সপ্তাহ আগে ডিজেলের দর বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণার পর সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে সরকার যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি করে। যাত্রী পরিবহন ছাড়াও পণ্য পরিবহনের গাড়ির ভাড়া বাড়ানো হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপরেও প্রভাব পড়েছে। রাজধানীতে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পণ্যের দর এখনো চড়া। শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলেও বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। প্রতি বছর এ সময় তুলনামূলকভাবে সবজির দর যা থাকে এ বছর তার চেয়ে অনেক বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য পরিবহনে বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। যার প্রভাবে বাজারে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, শীতের সবজি শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়শের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ ছাড়া পটোল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখনো চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিচিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালন শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। এ হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। আর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২৫ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। তবে লাল লেয়ার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি এখন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতলা মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।

 

সর্বশেষ খবর