মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

পাহাড়ে মাচায় তরমুজ চাষ

মো. জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি

পাহাড়ে মাচায় তরমুজ চাষ

পাহাড়ে এবার বাঁশের মাচায় পরীক্ষামূলক দুই জাতের তরমুজের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক উচনু চৌধুরী। বর্তমানে পানছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত যুগলছড়ি মৌজায় বাঁশের মাচায় ঝুলছে দুই শতাধিক তরমুজ। যা সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে। ভিতরে লাল ও হলুদ রঙের এই তরমুজ স্বাদ এবং গন্ধে অতুলনীয়। প্রথমবারের মতো চাষ করে সফলতায় আনন্দিত এই পাহাড়ি কৃষক। তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ক্যথোয়াই চিং চৌধুরীর ছেলে। কৃষি ডিপ্লোমার পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএবিএসএস ডিগ্রি অর্জন করে নিজেই একজন সফল কৃষক। উচনু চৌধুরী জানান, উপজেলার যুগলছড়ি মৌজায় নিজের আট একর জমিতে বাগান করেন। ২০১৩ সালে সেখানে ৬০০ লিচু, ১ হাজার ৫০০ আম ও ৫০০ রাবার গাছ রোপণ করেন। দীর্ঘ ৪ বছর অপেক্ষার পর ২০১৭ সাল থেকে আম ও লিচুর ফলন পাচ্ছেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০ লক্ষাধিক টাকা আয় হলেও এখনো রাবার সংগ্রহ শুরু হয়নি। আম বাগানের ফাঁকে ফাঁকে এবার প্রথমবারের মতো চায়না তরমুজ চাষ করেই সফলতা আসে তার। অল্প খরচে দুই মাসেই এই তরমুজ বাজারজাত করে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে আরও বড় পরিসরে চাষ করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার বলেন, রবি মৌসুমের হিসাব অনুয়ায়ী পানছড়িতে ১২ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড তরমুজের চাষ হচ্ছে। তরমুজগুলো বেবি ও সুইট বেবি জাতের। এলাকার কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি অধিদফতর বারি তরমুজ ওয়ান ও বারি তরমজু টুর বীজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এই দুই জাতের তরমুজ বারোমাসি। প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বারি তরমুজ ওয়ান ও বারি তরমজু টু চাষের ব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি আশা করছেন এতে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে এবং সারা বছর তরমুজ পাওয়া যাবে এ পাহাড়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর