বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রিয় বন্ধু যখন খুনি

হত্যার পর পোড়াল মুখ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

বন্ধুকে হত্যা ও মুখমন্ডল পুড়িয়ে দেওয়ার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। রেজাউল করিম নামে ওই যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১ মাস ২৬ দিন পর সোমবার এমদাদুল মুন্সী নামে একজনকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

শিবচর থানার পুলিশ জানায়, বগুড়া সদর উপজেলার চকসূত্রাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪০) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চর আমলা গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে রোলাস মালিথা রনি (৪০) কর্মসূত্রে কয়েক বছর আগে নেপাল থাকতেন। সেখানেই বন্ধুত্ব। আড়াই বছর আগে দেশে আসার পরও যোগাযোগ ছিল। ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রেজাউলকে পদ্মা সেতুর প্রকল্পে কাজ দেওয়ার কথা বলে রনি তাকে শিবচরে আসতে বলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর রেজাউল শিবচরের মাদবরচর আসেন। রনি তার সহযোগী এমদাদ মুন্সীকে (২৩) প্রকল্পের বস্ সাজিয়ে রেজাউলকে নিয়ে রাতে মাদবরচরের কালাই হাজী কান্দির একটি নির্জন এলাকার পরিত্যক্ত ঘরের কাছে নিয়ে যায়। রাত গভীর হলে মোবাইলে কথা বলার অভিনয় করে সরে গিয়ে রেজাউলকে পেছন থেকে গলায় ফাঁস দেয়।

রেজাউল ছোটাছুটি করলে দুজন মিলে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর মোবাইলে পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দরিদ্র পরিবার টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর হাত-পা বাঁধা ও মুখমন্ডল  দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসানো অবস্থায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে রেজাউলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনের ঘটনা উদঘাটন করি ও খুনের সঙ্গে জড়িত এমদাদুলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করি। অপর আসামি রোলাস মালিথা রনিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর