বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জমকালো গ্রামীণ পিঠা উৎসব

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

জমকালো গ্রামীণ পিঠা উৎসব

বরগুনার পাথরঘাটায় নবান্ন উৎসবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাহারি পিঠার মেলা। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিদ্যানিকেতন মাঠে প্রায় দেড়শ ধরনের বাহারি পিঠার মেলা বসে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী এ আয়োজন। মেলায় স্থান পেয়েছে ক্ষীর, পাটিসাপটা পিঠা, চন্দ্র মালি পিঠা, লক্ষ্মী পিঠা, প্রজাপতি পিঠা, নারিকেল পিঠা, নারকেল কাঁচাগোল্লা পিঠা, রুটি পিঠা, নকশি পিঠা, চিতে পিঠা, মুইঠা পিঠা, দুধ কুলি পিঠা, দুধ পিঠাই, ডিমের পানচুয়া পিঠা, ডিমকুল পুরি পিঠা, ভাত লাহারা পিঠা, রকমারি পিঠা, শাপলা কলি পিঠা, পাকান পিঠা, কাটা পিঠা, বিস্কুট পিঠা, ভরা পিঠা, মাছ পিঠা, দুধরাজ, গোকুল পিঠা, রসপিঠা, সন্দেশ ইত্যাদি। পুরনো দিনের পিঠাকে নবীনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। এসব পিঠা যে শুধু বাড়ি থেকে তৈরি করেই নিয়ে আসা হয়েছে তা নয়, আগত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য অনেক স্টলেই তৈরি হয়েছে গরম গরম পিঠা। ১২০ ধরনের পিঠা নিয়ে উৎসবে আসা তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. আবুল বাশার বলেন, পয়লা অগ্রহায়ণ নবান্নের প্রথম দিনে পাথরঘাটায় পিঠা উৎসবে আমরা ১২০ রকমের পিঠাপুলি নিয়ে এসেছি। তবে পিঠা উৎসবের বাহারি পিঠার স্বাদে গন্ধে শিশুসহ নারী পুরুষ সবাই উপভোগ করেছেন। এ যেন দীর্ঘদিন পর মানুষের মধ্যে আনন্দের দোলা লেগেছে।

নবান্ন উৎসবে আসা তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে নতুনমাত্রায় নিয়ে গেছে। কাইফি, রাইয়ান, রিয়াদ, মাসুমসহ কয়েকজন তরুণ জানান, এ রকমের উৎসব আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি এবং বইতে পড়েছি। এ ধরনের উৎসব এই প্রথম দেখলাম। গ্রামীণ থেকে অনেক পিঠা হারিয়ে গেছে। আর সেই হারিয়ে যাওয়া পিঠা উৎসবে এসে দেখে আনন্দিত। আমরা চাই প্রতি বছর নবান্ন উৎসবের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা দরকার।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদের সভাপতিত্বে নবান্ন উৎসবে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান ও সুলতানা নাদিরা, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর