বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ভারতীয় মায়ের আবেদন

শিশুসহ বাবাকে হাজিরে পুলিশকে হাই কোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে পলাতক বাংলাদেশি নাগরিক শাহিনুর টি আই এম নবীকে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার পুলিশের প্রতি এ নির্দেশ দেয় আদালত। ভারতীয় নাগরিক (মা) সাদিকা সাঈদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম ও ব্যারিস্টার ফাইজা মেহরিন।

এর আগে গত মঙ্গলবার মা সাদিকা সাঈদের করা আবেদনের ফলে তাদের তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে বাবা শাহিনুর টি আই এম নবীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট। সে জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তার আগে গত ২৫ আগস্ট হাই কোর্ট দুই মাসের জন্য ওই শিশুকে মা সাদিকা সাঈদের হেফাজতে রাখার আদেশ দেয়। আদেশে বলা হয়, মা ও শিশু মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) ব্যবস্থাপনায় থাকবে। তবে বাবা সপ্তাহে তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিশুর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এ দুই মাস ভারতীয় নাগরিক সাদিকা সাঈদের পাসপোর্ট গুলশান থানায় জমা রাখতে বলা হয়। মামলা থেকে জানা যায়, ভারতের বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে হায়দরাবাদের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান সাদিকা সাঈদ শেখ নামে নারীকে বিয়ের জন্য পছন্দ করেন বারিধারার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান শাহিনুর টি আই এম নবী। ২০১৭ সালে হায়দারাবাদে তাদের ঘটা করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস শুরু করেন তারা। কয়েক মাস পর ঢাকায় চলে আসে এই দম্পতি। ২০১৮ সালে সাদিকা সাঈদ এক পুত্র সন্তানের মা হন। এক পর্যায়ে তাদের সংসারে অশান্তি নেমে আসে। সাদিকা শেখকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে স্বামী শাহিনুরের বিরুদ্ধে। শাহিনুর তাকে ভারতের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন। সাদিকার আত্মীয়-স্বজনরা জানতে পেরে প্রথমে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করেন। পরে সাদিকার বোন মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) কাছে আইনি সহায়তা চান। গত ৮ আগস্ট সাদিকা শেখ ও তার শিশু সন্তানসহ আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হেবিয়াস কর্পাস (অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা) রিট করেন ফ্লাড পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম।

সর্বশেষ খবর