সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মরমি গানের মূর্ছনা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

মরমি গানের মূর্ছনা

শাহ আবদুল করিম, দুর্বীন শাহ, শেখ ভানু শাহ, হাছন রাজা ও কফিলউদ্দিন সরকারের মরমি গান ও এর সঙ্গে দলীয় নৃত্যসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল শেষ হয়েছে তিন দিনের রাধারমণ সংগীত উৎসব। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

সমাপনী আসরে দুর্বীন শাহের গান ‘আমি সাধ করে পরেছি গলে, দলীয়ভাবে পরিবেশন করে লোকাঙ্গন শিল্পীগোষ্ঠী। শিল্পীরা পরিবেশন করেন শাহ আবদুল করিমের গান ‘কাইন্দো না রাই কমলিনী’। অনুষ্ঠানে শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। জালাল খাঁর ‘দেখলে ছবি পাগল হবি’ গানের সঙ্গে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে স্বপ্নবিকাশ কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে শেখ ভানু শাহর ‘আরে ও জ্বালা নিভে না ও নষ্ট করলায় ফুলের কলি’ গান দুটি একক কণ্ঠে পরিবেশন করেন বায়োজিদ পাগলা।

নারায়ণ চন্দ্র শীল গেয়ে শোনান ‘আমি কইমু দুঃখ কারে ও আমি পারলাম নারে দুষি আমার মন’ গান দুটি। অধ্যাপক জাহিদুল কবীর গেয়ে শোনান হাছন রাজার গান, ‘আইলো আইলোরে বন্ধু ও এগো মওলা তোমার লাগি’। সেলিম চৌধুরীর কণ্ঠে গীত হয়, ‘সুন্দরী রাধে গো ও মাটির পিঞ্জিরার মাঝে’ গান দুটি। আকরামুল ইসলাম পরিবেশন করেন, ‘সোনাবন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো ও ধরতে না পারি আমি’। লালটুর কণ্ঠে গীত হয় শাহ আবদুল করিমের গান, ‘তুমি বিনে আকুল পরান ও মুর্শিদ ধন হে’। মোশাররফ মাস্টার গেয়ে শোনান দুর্বীন শাহর গান, ‘জন্মে জন্মে অপরাধী ও রঙিলা বারইরে’। কাননবালা সরকার গেয়ে শোনান, ‘কেমনে ভুলিব আমি ও মাটির পিঞ্জুরায় সোনার ময়নারে’। বাউল আবদুর রহমান পরিবেশন করেন, ‘এসব নিয়ে দ্বন্দ্ব কেন, নৌকা বাইও সাবধান ও কী যাদু করিয়া বন্ধে’। বাউল বসিরউদ্দিন সরকার পরিবেশন করেন দুর্বীন শাহর, ‘আমার বাড়ি আইও, আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন ও কি সুখে রইয়াছি’। বাউল সিরাজউদ্দিনের কণ্ঠে গীত হয়, ‘প্রেম রোগে পাইল আমারে, তুই যদি হইতি গলার ও বন্ধুর বাড়ি আমার’। বাউল তছকির আলী গেয়ে শোনান কফিলউদ্দিন সরকারের ‘ভবে পাইলাম যারে’।

রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে ২৬ নভেম্বর শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত চত্বরে শুরু হয়েছিল তিন দিনের এই উৎসব।

আজ শুরু পঞ্চম জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী : ভাস্কর্য চর্চায় উৎসাহ, বিকাশমান চর্চার সুরক্ষা ও বিস্তারে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আজ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে ‘পঞ্চম জাতীয় ভাস্কর্য’ প্রদর্শনী। সারা দেশের ২১ বা তদূর্ধ্ব বয়সী ১৩৫ জন শিল্পীর জমাকৃত ২৫৪টি শিল্পকর্ম থেকে বাছাইকৃত ১০৭ জন শিল্পীর ১১৪টি শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো থাকবে এই প্রদর্শনী। এ ছাড়া ১৬ জন আমন্ত্রিত এবং প্রয়াত পাঁচজন পথিকৃৎ ভাস্করের একটি করে ভাস্কর্যও এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য কর্নার থাকবে। বিকাল ৪টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা আর শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় চিত্রশালার গ্যালারিতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্রদর্শনী। ২৮ ডিসেম্বর শেষ হবে প্রদর্শনী।

বাংলা একাডেমি পরিদর্শনে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা : বাঙালির মেধা ও মননের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। গতকাল দুপুরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এলে তাদের স্বাগত জানান একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, একাডেমির পরিচালক, উপপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের পক্ষে ছিলেন পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার শন ম্যাকিনটোশ, কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার শার্লিনা হুসাইন-মর্গ্যান এবং কালচারাল অ্যাফেয়ার্স স্পেশালিস্ট ফারোহা সোহরাওয়ার্দী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর