সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ওমিক্রনে সাধারণ ঠাণ্ডার ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য

প্রতিদিন ডেস্ক

কভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সম্ভবত সাধারণ ঠাণ্ডার জন্য দায়ী অন্য একটি ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানের অংশকে সঙ্গে নিয়ে অন্তত একবার নিজের জিন বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, কোনো দেহের আক্রান্ত কোষে দুটি ভাইরাসের সংমিশ্রণের ফলে এটা হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স।

গবেষকদের ভাষ্য, ওমিক্রনের যে জেনেটিক বিন্যাস, তা করোনাভাইরাস নামে পরিচিতি সার্স-সিওভি-২ এর আগের সংস্করণগুলোতে দেখা যায়নি; কিন্তু এই বৈশিষ্ট্য অন্য অনেক ভাইরাসেই দেখা যায়, যেসব ভাইরাসের কারণে সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর দেখা যায়। ক্যামব্র্রিজ, ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক ডাটা অ্যানালেটিক্স ফার্মের ভেঙ্কি সৌনদরারাজন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট এই জেনেটিক উপাদান নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে ওমিক্রন সম্ভবত নিজেকে আরও বেশি মানুষের উপযোগী করে গড়ে তুলেছে, যা তাকে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফাঁকি দিতেও সাহায্য করছে। উল্লেখ্য, ভেঙ্কি সৌনদরারাজন গত বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইট ওএসএফ প্রিপ্রিন্টসে প্রকাশিত গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন।

গবেষকরা বলছেন, জিন বিন্যাসে সাধারণ ঠাণ্ডার ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য থাকার ফলেই হয়তো ওমিক্রন মৃদু উপসর্গ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গ ছাড়াই সহজে ছড়াতে পারছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনো ওমিক্রন অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক কিনা, এর আক্রমণ অনেক বেশি তীব্র কি না কিংবা এটি ডেল্টাকে টপকে বিশ্বজুড়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম কি না তা জানেন না। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তবে আগের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের কোষ একই সঙ্গে সার্স-সিওভি-২ ও সাধারণ ঠাণ্ডার করোনাভাইরাসকে আশ্রয় দিতে পারে। এ ধরনের কোনো ক্ষেত্রে একই হোস্ট কোষে দুটি ভাইরাসের সংমিশ্রণ ঘটতে পারে এবং নতুনটির একাধিক কপি তৈরি করতে পারে, যেগুলোর জিন বিন্যাসে আগের দুই ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান থাকে।

সৌনদরারাজন এবং তার সহকর্মীদের গবেষণা বলছে, সম্ভবত দুই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির দেহে সার্স-সিওভি-২ এর কোনো সংস্করণ অন্য ভাইরাসের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর