মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দিন সব হাসপাতালে

মাহফুজা খানম

সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দিন সব হাসপাতালে

দেশের প্রতিটি হাসপাতালে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা বারবার বলে আসছি, যাতে করে মানুষ তাৎক্ষণিক সেবা অন্তত পায়। দেখা গেছে, এ মানসিক সাপোর্টটা পরবর্তী সময়ে মানসিক শক্তি এবং এটি বিষণ্ন রোগীকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা জানি যে, একজনের সঙ্গে কষ্ট ভাগাভাগি করলে তা কমে যায়। ফলে যখন কেউ একজন সাইকোলজিস্টের কাছে যান তখন তারা সঙ্গে নিজেদের কষ্ট ভাগাভাগি করেন। আর সেখানে সেই সাইকোলজিস্টও তাকে বিভিন্ন উপদেশ দেন, যা পরবর্তী সময়ে সেই ভুক্তভোগীর উপকারে আসে। এ জন্য জীবন বাঁচাতে হলে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব বলেন। মনোবিজ্ঞানের এ অধ্যাপক বলেন, করোনা সংক্রমণ মানুষের মানসিক সমস্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। কিন্তু যেসব শিক্ষার্থী পাস করে বের হচ্ছেন বা এখনো আটকে আছেন তারা সবাই এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তারা সবাই জানেন মহামারীর কারণে পরিবর্তিত পৃথিবীতে চাকরির ক্ষেত্র কিছুটা কমে এসেছে। আর এ চিন্তায় তরুণ প্রজন্ম এখন খুব বেশি মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। তারা অপেক্ষায় আছেন পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে। আবার পাস করার পর আদৌ চাকরি পাবেন কি না তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় নতুন করে এ শিক্ষার্থীরা আবার চাকরির জন্য দুশ্চিন্তা করছেন। অর্থাৎ এ শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই চাপের মধ্যে ছিলেন। এবার নতুন করে আরও মানসিক চাপ এসে যুক্ত হয়েছে। আমরা লক্ষ করে দেখছি, আত্মহত্যার প্রবণতা তরুণদের মধ্যেই বেশি। মাহফুজা খানম বলেন, করোনাকালে যাদের চাকরি চলে যায় তাদের অনেকেই কাজ খুঁজে যখন পাননি তখন তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। আর এই মানসিক চাপ যখন তারা নিতে পারেন না তখন তারা আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটান। যদিও পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, করোনার প্রকোপও আগের চেয়ে কমেছে, কিন্তু এরপরও সেই মানুষগুলো এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। এখানে অর্থনৈতিক কারণেই এ মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর