বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারেন

এলিনা খান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারেন

আমরা দেখেছি ডিজিটাল আইনে পুলিশ যেখানে যা পায় সেখানেই তারা মামলা করে ফেলে। এ জন্য হয়রানির শিকার হলে যে কোনো নারী যে কোনোভাবে কিংবা পুলিশ নিজে এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারেন। আবার নারী সংগঠনগুলোও যে কোনো সময় এ ব্যাপারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে পারে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নারীর প্রতি অবমাননাকর কোনো কথা কেউ বললেই আমরা মামলা করছি। আর এ জন্য অভিযুক্তরা গ্রেফতারও হচ্ছে এবং তারা জামিন পাচ্ছে না। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। এলিনা খান বলেন, তবে নারীকে হয়রানি করা হলে মানহানির মামলাও করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মামলাটি পরিচালনা করতে বেশি সময় লাগতে পারে এবং তুলনামূলক আর্থিক খরচও বেশি হবে। সে হিসাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি প্রয়োগ করা বেশি ভালো। এ আইনজীবী বলেন, যাদের মন্ত্রী বা এমপি হিসেবে নমিনেশন দেওয়া হয়, তাদের প্রথম দিকে নমিনেশন দেওয়ার আগে মেয়েদের সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তা যাচাই-বাছাই করা উচিত। যাদের এ বিষয়ে অতীত রেকর্ড ভালো নয় তাদের জনপ্রতিনিধি না করাই ভালো। আবার ওপর থেকে যারা এ ধরনের মানুষদের দায়িত্ব দিচ্ছেন তাদেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব আছে। দেশের ওপরমহলের দায়িত্বশীল লোকদের যেখানে মেয়েদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সম্মান করার কথা, তা না করে এর বদলে যদি তারা নারীকে অসম্মান ও অপমানিত করেন তখন সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমি মনে করি এই ইস্যুতে নারীকে চরমভাবে অপমানিত করার জন্য সব নারীর বিভিন্নভাবে মামলা করা উচিত। প্রতিটি জেলা ও ইউনিয়ন থেকে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা উচিত। এখন যে নারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন তাদেরও নিজেদের সংগঠন থেকে নারীর সম্মান রক্ষার জন্য এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা উচিত।

সর্বশেষ খবর