বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে নালায় নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরের মুরাদপুরে উন্মুক্ত নালায় পড়ে বৃষ্টির পানির স্রোতে তলিয়ে যান ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ (৫০)। ২৫ আগস্টের এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) উন্মুক্ত নালা-ড্রেনে বাঁশের বেরিয়ার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু ওই দুর্ঘটনাস্থল ছাড়া আর কোথাও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার ফের খালে পড়ে শিশু নিখোঁজের পর চসিক ঘোষণা করল, ‘জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে না এমন সব নালা-ড্রেন ও খালে বেরিয়ার দেওয়া হবে।’ পক্ষান্তরে নালায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত কমিটিও চসিক ও সিডিএকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে। দুর্ঘটনার পরই চসিকের টনক নড়লেও পরে তা আর দেখা যায় না।

অভিযোগ আছে, এভাবে দুর্ঘটনার পরপর চসিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নালা-ড্রেনে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়ার তাৎক্ষণিক ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয় না। বারবার অভিন্ন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছেই না। উন্মুক্তই আছে নালা-ড্রেন-খাল। এসবে পড়ে মৃত্যু-নিখোঁজ ঘটছেই। প্রশ্ন উঠেছে, শিশু কামালকেও কি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের ভাগ্য বরণ করতে হবে?

জানা যায়, সোমবার বিকালে রাকিব ও কামাল নামে দুই শিশু শপিং কমপ্লেক্সের বিপরীতে চান্দগাঁও ভূমি সার্কেল অফিসের পাশের চশমা খালে কিছু খুঁজতে নেমে পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। পরে রাকিব উঠে আসতে পারলেও কামাল পারেনি। পরে নিখোঁজ শিশুর বাবাকে জানানো হয়। তার বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে পারেননি। মঙ্গলবার বিকালে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস শিশুটির খোঁজে উদ্ধার অভিযান শুরু করে রাত ১০টায় শেষ করে। গতকাল আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু তিন দিনেও শিশুটির খোঁজ মেলেনি।

চসিকের জলাবদ্ধতা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষারোপের চর্চা করে লাভ হবে না। সমস্যার প্রতিকার জরুরি। কোনো সংস্থাই দায় এড়াতে পারে না। তাই সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মেগা প্রকল্প চলছে এমন স্থানে চসিক কোনো কাজ করতে পারে না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় কাজ ওই প্রকল্পের অধীনে হওয়াটা স্বাভাবিক। বিষয়টি আমাদের সবার অনুধাবন করা উচিত। একই সঙ্গে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা থেকেও বিরত থাকা উচিত।’

সর্বশেষ খবর